অর্থনীতি

এবার বিমার শেয়ারের ঢালাও দরপতন

দুই সপ্তাহ ধরে দেশের শেয়ারবাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে একচেটিয়ে দাপট দেখিয়েছে বিমা খাতের কোম্পানিগুলো। তবে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার বিমা কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দামে ঢালাও দরপতন হয়েছে। দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়ছে প্রায় সবকয়টি বিমা কোম্পানি।

Advertisement

বিমা কোম্পানির শেয়ারের ঢালাও দরপতন হওয়ার কারণে মূল্যসূচকেও নেতিবাচক প্রভাব বেড়েছে। তবে লেনদেনের গতি কিছুটা বেড়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে আটশ কোটি টাকার ওপরে। তবে কমেছে প্রধান মূল্যসূচক।

গত কয়েক কার্যদিবসের মতো বুধবারও (২০ সেপ্টেম্বর) শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকয়টি বিমা কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে মূল্যসূচকেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। তবে দুপুর ১২টার পর এক শ্রেণির বিনিয়োগকারী হঠাৎ বিমার শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ান। এতে একের পর এক বিমা কোম্পানির শেয়ারের দাম কমতে থাকে।

লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিমার শেয়ারের দাম কমার প্রবণতাও বাড়ে। এতে দিনের লেনদেন শেষে বিমা খাতের মাত্র ৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৭টি বিমা কোম্পানির শেয়ারের। এতে সব খাত মিলিয়ে ডিএসইতে ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৭টির এবং ১৬৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

Advertisement

বিমা কোম্পানিগুলোর শেয়ারের এমন দরপতনের দিনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স শূন্য দশমিক ৪৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩১০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৪০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৫৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৮১১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৪৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে টানা দুই কার্যদিবস ডিএসইতে আটশ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলো।

এই লেনদেন বাড়াতে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে এমারেল্ড অয়েল। কোম্পানিটির ৪৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৩১ লাখ টাকার। ২৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- জেমিনি সি ফুড, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, মেট্রো স্পিনিং, ফু-ওয়াং ফুড, জনতা ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স এবং মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

Advertisement

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৬০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৫টির এবং ৬৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১১ কোটি ২০ লাখ টাকা।

এমএএস/কেএসআর/জিকেএস