আন্তর্জাতিক

এবার কলকাতায় নিপাহ ভাইরাসের থাবা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে আসেনি। এসব রোগ ক্রমশ বাড়ছেই। মশাবাহিত রোগের হাত থেকে বাঁচতে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের সব পৌরসভা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। একদিকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া যখন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে তার মধ্যেই নিপাহ ভাইরাসকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্বেগ বাড়ছে।

Advertisement

কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তি নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই ব্যক্তি পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের বাসিন্দা।

আরও পড়ুন: কেরালার নিপাহ ভাইরাসকে কেন ‘বাংলাদেশ ভ্যারিয়েন্ট’ বলা হচ্ছে?

জানা গেছে, ২৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি কেরালা রাজ্যের এর্নাকুলামে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। কয়েকদিন ধরেই তার তীব্র জ্বর। এছাড়া হাত-পা-গলা এবং গায়ে ব্যথা, বমি বমি ভাব রয়েছে। এসব সমস্যা দেখা দেওয়ায় কলকাতার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সেখান থেকে কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তাকে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, ওই তরুণের দুই সঙ্গী সম্প্রতি কেরালায় জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। তাই ওই তরুণের ক্ষেত্রে আর কোনো ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। তাকে সঙ্গে সঙ্গেই আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

মঙ্গলকোটের ওই তরুণ কেরালার এর্নাকুলামে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। তিনি সেখানে যে ঘরে থাকতেন সেই ঘরে সন্দেহজনক জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। সে কারণেই তিনি নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন: কেরালায় বাড়ছে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ, সতর্কতা জারি

Advertisement

এসব বিষয়ে বিবেচনায় রেখেই তাকে সন্দেহভাজন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত মনে করে বেলেঘাটা আইডি আইসোলেশনে ভর্তি রাখা হয়েছে। এছাড়া পুনের এনআইভি ( ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি) সেন্টারে তার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এরপরেই তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকরা।

ডিডি/টিটিএন