ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নামকরণের প্রস্তাবে অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০’-এর পরিপন্থী হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রস্তাবে সম্মতি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ।
Advertisement
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি জাগো নিউজকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ওমর ফারুখ বলেন, ‘যে আইনটা আমাদের বিদ্যমান, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন রানিং (চলমান) থাকার পর হঠাৎ নাম পরিবর্তন বিষয়ে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যেটা বিবেচনা করেছি যে, নাম পরিবর্তন করা হলে যারা এরই মধ্যে সেখান থেকে ডিগ্রি নিয়েছেন, তাদের পরিচয় বড় সংকটে পড়তে পারে। অনেক ধরনের জটিলতার মুখে পড়তে হতে পারে সাবেক শিক্ষার্থীদের। এজন্য তাদের প্রস্তাব বিবেচনা করা হয়নি।’
ইউজিসি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা দ্রুত লিখিত আকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলেও জানান সংস্থাটির পরিচালক ওমর ফারুখ।
Advertisement
আরও পড়ুন>> ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ২৩ বছরের আয়-ব্যয় জানতে চায় ইউজিসি
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৮ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে একটি প্রস্তাব পাঠান। তাতে বলা হয়, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে তার নামে করতে চান তারা। মন্ত্রণালয় ওই প্রস্তাব ইউজিসিতে পাঠিয়ে মতামত চেয়েছিল।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল ‘স্যার ফজলে হাসান আবেদ ইউনিভার্সিটি’। সংক্ষেপে এটিকে তারা ‘আবেদ ইউনিভার্সিটি’ নামে পরিচিত করাতে আগ্রহী।
এদিকে, নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব করার খবর জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখান। তারা ফজলে হাসান আবেদের অবদান স্মরণীয় করে রাখতে পৃথক কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা ইনস্টিটিউট করার পরামর্শ দেন।
Advertisement
এএএইচ/ইএ/এএসএম