রোগীদের উন্নতমানের চিকিৎসা দেওয়ার লক্ষ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শুরু হয় বৈকালিক চিকিৎসাসেবা। তবে আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও মিলছে না রোগীর দেখা। এতে করে অলস সময় পার করতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
Advertisement
তবে সকালে রোগীর চাপ সামলানো যাচ্ছে না। রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমসিম খেতে হয় চিকিৎসকদের।
হাসপাতালের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত বৈকালিক চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন মাত্র ৫৫ জন। অথচ হাসপাতালটিতে রয়েছে বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। অন্যদিকে সকালে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসছেন অন্তত পাঁচ শতাধিক রোগী। একসঙ্গে এত রোগীর চাপ বাড়ায় সেবা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মতে বৈকালিক চিকিৎসা ব্যবস্থার বিষয়ে প্রচারণার ঘাটতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: রোগী আসে না বলে চেম্বারে বসেন না চিকিৎসকরা
Advertisement
সকালে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, লম্বা লাইন ধরে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন রোগীরা।
এসময় খাষেরহাট এলাকার আনারুল ইসলাম বলেন, বিকেলে চিকিৎসা পাওয়া যায় এটা আমরা জানতাম না। তবে এখন জানি কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বিকেলে ৩০০ টাকা দিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। কিন্তু সকালে পাঁচ টাকা দিয়ে চিকিৎসা পাওয়া যায়। তাহলে আমি বিকেলে কেন আসব। এজন্য সকালে এসেছি।
আব্বাস বাজার এলাকার সামসুল আলম বলেন, বিকেলে চিকিৎসা পাওয়া যায় এটা আমরা জানি না। আপনার কাছেই শুনলাম। আমরা তো জানি বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক থাকেন না।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ঝিমিয়ে চলছে বৈকালিক চেম্বার কার্যক্রম
Advertisement
শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা.আজিজুল হক সুইট বলেন, হাসপাতালে প্রতিদিন বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য মেডিকেল কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দায়িত্ববণ্টন করা হয়। তারা সময় মতই দায়িত্ব পালন করে থাকেন, অথচ রোগীর দেখা মেলে না। রোগী না আসার প্রধান কারণ হল চিকিৎসা ফি দেওয়া।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা.এস এম মাহদুর রশিদ বলেন, বৈকালিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তবে সকালে পাঁচ টাকায় সেবা পাওয়ায় বিকেলে ৩০০ টাকা দিয়ে সেবা নিতে মানুষ আগ্রহী না ।
সোহান মাহমুদ/জেএস/জেআইএম