রংপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। কমেনি চাল, ডাল, ডিম, আলু ও পেঁয়াজসহ বিভিন্ন সবজির দাম। স্বস্তি নেই মাছ-মুরগির বাজারেও।
Advertisement
রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতোই দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ টাকা। পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি গত সপ্তাহের মতোই ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচামরিচ ১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৪০-১৫০ টাকা, দেশি আদা ২৬০-২৮০ টাকা ও ভারতীয় আদা ২২০-২৪০ টাকা, প্রতিকেজি টমেটোর দাম কমে ১২০ টাকা, প্রতিপিস চালকুমড়া ৪০-৪৫ টাকা, চিকন বেগুন ৩০-৩৫ টাকা, গোল বেগুন ৬০-৭০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৮০টাকা, লেবু প্রতিহালি ১০-১২ টাকা, শুকনা মরিচ ৫৫০-৬০০ টাকা, প্রতিপিস লাউ (আকারভেদে) ৪০-৪৫ টাকা, ধনেপাতা ২৮০-৩০০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিহালি ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আর পড়ুন: ‘সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে কোল্ডস্টোরেজ মালিকরা আলু ছাড়ছেন না’
Advertisement
এছাড়াও প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, ঝিঙে ৫৫-৬০ টাকা, দুধকুষি ৩৫-৪০ টাকা, পটল ৩৫-৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা, কাঁকরোল ৩৫-৪০ টাকা, কচুরলতি ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০-৮০ টাকা, কচুরবই ৫৫-৬০ টাকা, বাজারে আসা নতুন সবজি শিম প্রতিকেজি ১৬০-২০০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০-৫৫ টাকা, ফুলকপি ৮০-৯০, মুলা ৪৫-৫০ টাকা, দেশি রসুন ২৬০-২৮০ টাকা ও ভারতীয় রসুন ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবধরনের শাকের আঁটি ১০-১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
খুচরা বাজারে কার্ডিনাল আলুর দাম সামান্য কমে ৩৫-৪০ টাকা, সাদা দেশি আলু আগের মতোই ৫৫-৬০ টাকা এবং শিল ও ঝাউ আলু ৫৫ টাকা টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুলাটোল আমতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহীন বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। নতুন আসা কিছু সবজির দাম চড়া। এছাড়া কার্ডিনাল আলুর দাম সামান্য কমলেও অন্য জাতের আলুর দাম কমেনি। তবে সোমবার থেকে কাঁচামরিচের দাম ঊর্ধ্বমুখী। আমদানি কমে যাওয়ায় বাজারে প্রভাব পড়ছে।
আর পড়ুন: ডিম আমদানির অনুমতির প্রভাব পড়েনি বাজারে
Advertisement
কামাল কাছনা বাজারের সবজি বিক্রেতা আনোয়ার বলেন, পাইকারি বাজারে ৩৫-৩৬ টাকা দরে আলু কিনে ৪০ টাকার বেশি বিক্রি না করলে খুচরা ব্যবসায়ীদের লোকসান হবে। এ কারণে আলু কেনা আপাতত বন্ধ করেছি। আগের আলু বিক্রি করছি।
মুরগি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩০০-৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৪০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস ৭০০-৭২০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিটি বাজারের মুরগি বিক্রেতা মকবুল বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
অন্যদিকে খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৭০-১৭৫ টাকা এবং দুই লিটার ৩৫৮-৩৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খুচরা বাজারে স্বর্ণা (মোটা) চাল গত সপ্তাহের মতোই ৪৮-৫০ টাকা, পাইজাম ৫৫ টাকা, জিরাশাইল ৬০ টাকা, বিআর২৮ ৬৩-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৬৮-৭০ টাকা ও নাজিরশাইল ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আর পড়ুন: আলু কেনার রশিদ না থাকায় কুমিল্লায় ৩ আড়তকে জরিমানা
বাজার ঘুরে আরও দেখা যায়, খুচরা বাজারে খোলা চিনি গত সপ্তাহের দরেই ১৩০-১৩৫ টাকা, প্যাকেট আটা ৬০ টাকা ও খোলা আটা ৫০ টাকা, ছোলাবুট ৯০-১০০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আগের মতোই মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫০-১৬০ টাকা এবং বুটডাল ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জিতু কবীর/জেএস/জেআইএম