সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডের এজাহারভুক্ত আসামি সহিদুর রহমান লিপনকে সভাপতি করে বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
Advertisement
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জামালপুর জেলা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রুকু এবং সদস্যসচিব আরমান হোসেন সাগর আগামী তিন বছরের জন্য এ কমিটির অনুমোদন দেন।
সহিদুর রহমান লিপন উপজেলার মালিরচর তকিরপাড়া গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে এবং নাদিম হত্যাকাণ্ডের এজাহারভুক্ত ১১ নম্বর আসামি। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নাদিমের পরিবার।
সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের মেয়ে রাব্বিলাতুল জান্নাত জাগো নিউজকে বলেন, ‘একজন হত্যা মামলার আসামি কীভাবে একটি সংগঠনের প্রধান হতে পারে! এ ঘটনায় বাবার হত্যাকাণ্ডের বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত আমি।’
Advertisement
এ মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ইউসুফ আলী বলেন, ‘বিষয়টি নজরে এসেছে। এমন ঘটনায় আমি খুবই মর্মাহত। চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামিকে ক্ষমতাসীন সহযোগী সংগঠনের উপজেলা শাখার সভাপতি পদে দায়িত্ব দেওয়া মানে আসামিকে পুরস্কৃত করার শামিল।’
এ বিষয়ে জামালপুর জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি জাকির হোসেন রুকু জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ বিষয়ে মোবাইলে বলতে চাই না। বক্তব্য নিতে সন্ধ্যায় পার্টি অফিসে আসেন’ বলে সংযোগ কেটে দেন।
সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম গত ১৪ জুন রাতে বকশীগঞ্জ বাজারের পাটহাটি এলাকায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবুর সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার শিকার হন। পরদিন বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
পরে ১৮ জুন সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
Advertisement
মামলার এজাহারভুক্ত ১১ নম্বর আসামি সহিদুর রহমান লিপনকে গত ১৭ জুন এক বকশীগঞ্জ তাঁতী লীগের সভাপতির পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কিছুদিন পলাতক ছিলেন। পরে ৪২ দিনের জামিনে এসে আবারও স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন লিপন।
নাসিম উদ্দিন/এসআর/এএসএম