আব্দুল জব্বার পেশায় একজন কলেজশিক্ষক। তবে আমের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কয়েক যুগ ধরে। গত ৫-৬ বছর থেকে আম ব্যবসায় লোকশান গুনছিলেন তিনি। তাই জিআই স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ফজলি আমের বাগান কেটে আনারসের চাষ শুরু করেছেন তিনি।
Advertisement
তবে আমের ব্যবসা ছেড়ে দেননি তিনি। আনারসের জমিতে লাগিয়েছেন নাবি জাতের কাটিমন আমের গাছ। সাথী ফসল হিসেবে চাষ করেছেন আনারস।
আব্দুল জব্বারের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুকুরিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে।
আব্দুল জব্বার জাগো নিউজকে বলেন, যুগ যুগ ধরেই আমরা পারিবারিকভাবে সবাই আম ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু গত ৫-৬ বছর ধরে ফজলি আমের দাম পাচ্ছি না। এতে প্রচুর লোকসান গুনতে হয়েছে আমাকে। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আম গাছ কেটে ফেলে আনারসের চাষ শুরু করবো।
Advertisement
মূলত এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কোথাও আনারসের চাষ হয় না। আমরা টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আনারস কিনে এনে এই জেলার চাহিদা পূরণ করি। আমের রাজধানীতে আনারসের চাষ হলে আমরা নিজেদের উৎপাদিত আনারস দিয়েই চাহিদা পূরণ করতে পারবো।
তিনি বলেন, আমি খাগড়াছড়ি থেকে চারা এনে ১ একর ১৩ শতক জমিতে জলডুবরি জাতের ২৬ হাজার আনারসের গাছ লাগিয়েছি। কিছু গাছে আনারস আসতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত আমার খরচ হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা। তবে কেমন লাভবান হবো বুঝতে পারছি না। কারণ এর আগে আনারসের চাষ করিনি।
স্থানীয় আনারুল হক বলেন, আমাদের এলাকায় আম ছাড়া অন্য কোনো ফসল উৎপাদন হয় না। কিন্তু আব্দুল জব্বার সাহস করে খাগড়াছড়ি থেকে আনারসের চারা এনে লাগিয়েছেন। তাই এলাকার মানুষ অনেকে জব্বারের আনারসের জমি দেখতে চান। আমি আশায় আছি, জব্বার ভাই যদি সফলতা অর্জন করেন তাহলে আমিও আনারসের চাষ করবো।
আব্দুল জব্বারের আনারসের জমির শ্রমিক মোতাহের আলী জানান, এখান থেকে তাকে দিনে ৩০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এতেই চলে তার সংসার।
Advertisement
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি বেশ কয়েকবার আব্দুল জাব্বারের আনারসের জমিতে গিয়েছি। একই জমিতে নাবি জাতের কাটিমন আমগাছও লাগিয়েছেন তিনি। জেলায় এই প্রথম আনারসের চাষ হচ্ছে। এটি আরও বাড়লে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন এ জেলার মানুষ।
এফএ/এএসএম