স্বাস্থ্য

ডেঙ্গুতে একদিনে ৭ মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ৩০২৭

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৪৬ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিন হাজার ২৭ জন।

Advertisement

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রী হাসপাতালে, সন্তানরা বাড়িওয়ালার কাছে

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিন হাজার ২৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮৪৯ জন ও ঢাকার বাইরের দুই হাজার ১৭৮ জন। একই সময়ে মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে চারজন ঢাকার ও তিনজন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।

Advertisement

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ ৭৩ হাজার ৭৯৫ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৪ হাজার ৯৭৬ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ৯৮ হাজার ৮১৯ জন ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৪৬ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৫৭৮ জন এবং ঢাকার বাইরের ২৬৮ জন।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে সলিমুল্লাহ মেডিকেলের ছাত্রী দীপান্বিতার মৃত্যু

এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক লাখ ৬২ হাজার ৮৪৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৭০ হাজার ৫৮৪ জন এবং ঢাকার বাইরের ৯২ হাজার ২৬৩ জন।

Advertisement

বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১০ হাজার ১০২ জন ডেঙ্গুরোগী। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৩ হাজার ৮১৪ জন এবং ঢাকার বাইরে রয়েছেন ৬ হাজার ২৮৮ জন।

২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর সঙ্গে লড়ছে চার সন্তান, দিশেহারা মা আসমা আক্তার

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

এমকেআর/এমএস