দেশজুড়ে

১০ বছরের মধ্যে ইউকের প্রধানমন্ত্রী হবো, কখনো দেশে আসবো না

আবারও লাইভে এসেছেন হক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজী হক। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরবের মক্কা থেকে ফেসবুক লাইভে এসে সরকারপ্রধান, নারী নেতৃত্ব ও আওয়ামী লীগ নিয়ে নানা বিষোদগার করেন তিনি।

Advertisement

এ নিয়ে গত ৩৬ ঘণ্টায় পাঁচবার ফেসবুক লাইভে এলেন আদম তমিজী হক। এরআগে আলাদা করে চারটি ফেসবুক লাইভ ও বহু স্ট্যাটাসে আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় এমপি-নেতাদের বিরুদ্ধে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ লুটে নেওয়া, স্থানীয় এমপি এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, তার চাচা মতিউর রহমান মতি ও কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম নুরুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনেন তিনি।

বর্তমানে সৌদিতে অবস্থান করছেন আলোচিত এ ব্যবসায়ী। সোমবার মক্কা থেকে আরবের পোশাকে সজ্জিত হয়ে ফেসবুক লাইভে এসে তমিজী হক বলেন, ব্যারিস্টার তমিজুল হক আমার বাবা। আওয়ামী লীগের পেছনে আমাদের পরিবারের অনেক অবদান আছে। 

এর আগে তমিজী হক তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘ইংল্যান্ডে আমি সম্মান পাবো। ওখানে জানে ট্যালন্টদের কীভাবে মূল্য করতে হয়। আমি ইউকেতে (যুক্তরাজ্য) স্থায়ী বসতি গড়ে তুলবো।’

Advertisement

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হচ্ছেন আদম তমিজী হক

ইংরেজিতে লেখা পোস্টগুলোতে মাঝে মধ্যে ইংরেজি হরফে বাংলা কথাও লেখা হয়। বলেন, ‘ইউকেতে আমি লেবার পার্টির রাজনীতি করবো। আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমি ইউকের প্রধানমন্ত্রী হবো ইনশাআল্লাহ। আমি আর কখনো বাংলাদেশে আসবো না।’

এর আগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ফেসবুক লাইভে আদম তমিজী হক তার ওপর জুলুম-অত্যাচারের কথা তুলে ধরেন। পরে চতুর্থ লাইভে এসে জোর করে তার স্ত্রীর মুখ চেপে ধরে বলতে থাকেন, ‘আমি আদম তমিজী হক। আমি আওয়ামী লীগের নেতা ছিলাম। আমার দল আমার বউকে খেপিয়ে আমার সংসার ভেঙেছে। আমার বউকে আমার বিরুদ্ধে লাগিয়ে দিয়েছে।’ এসময় তার স্ত্রী ফেসবুক লাইভে কিছু না বলতে আদম তমিজী হকের মুখ চেপে ধরে কান্নাকাটি করতে থাকেন।

আরেক লাইভে এসে তার বাংলাদেশি পাসপোর্টে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন। একই সঙ্গে দেশ ছাড়ার ঘোষণা দেন। আওয়ামী লীগ এক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি খেয়ে ফেলেছে এমন অভিযোগ করে রাগে-ক্ষোভে তিনি এমন কাণ্ড ঘটান।

Advertisement

আদম তমিজী হকের এমন বক্তব্যে বিব্রত সরকার ও আওয়ামী লীগ। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলে আলোচনা করে বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হবে বলছে দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব।

আমিনুল ইসলাম/এসআর/এএসএম