বগুড়ায় বিএনপির তারুণ্যের রোডমার্চে বাঘের সাজে হাজির হয়েছেন শুকুর আলী খান। দলকে ভালোবেসে দুই বছর ধরে এ যুবক বাঘের সাজে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দলীয় কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করছেন। সবার কাছে তিনি ‘টাইগার শুকুর’ নামেই পরিচিত।
Advertisement
শুকুর আলী খান বরগুনা জেলার সদর উপজেলার বালিয়াতলী গ্রামের পলু খানের ছেলে। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সবুজবাগ থানা যুবদলের একজন সক্রিয় কর্মী। তার দাবি, গত দেড় বছর ধরে তিনি বাড়ি যাননি। সরকারের পতন হলে তবেই বাড়ি ফিরবেন টাইগার শুকুর।
২০২২ সালের শুরু থেকে বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে বিএনপির বড় কোনো কর্মসূচী হলেই অংশ নেন শুকুর আলী খান। বিএনপির দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে বাঘের সাজে দলকে সমর্থনের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের উৎসাহ যুগিয়ে চলছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পদযাত্রায় সংঘর্ষ, হাইকোর্টে ১৭ আইনজীবীর জামিন আবেদন
Advertisement
শুকুর আলী খান বলেন, গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলনে ইতিহাসের সাক্ষী হতে দলের সব কর্মসূচীতেই অংশ নেই। গত দেড় বছর আমি বাড়ি যাইনি। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে যাবো না। এই গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলনে আমার অসংখ্য ভাই জীবন দিয়ে, গুম হয়েছে। তাই তাদের ত্যাগের কথা স্মরণ হলে বাড়ি ফেরা সম্ভব হয় না। সরকার দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও দেশ নায়ক তারেক জিয়ার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে মিথ্যা মামলা দিয়েই যাচ্ছে। তবে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল এবার সরকারের পতন ঘটিয়ে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে।
তিনি আরও বলেন, সিনিয়র নেতাদের সহযোগিতায় ঢাকার পল্টন থেকে রংপুরে রোডমার্চে গিয়েছিলাম। সেখানে দেশপ্রেমিক সাধারণ মানুষের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নিয়ে বগুড়ায় এসেছি। এখান থেকে রাজশাহী যাবো। আমার উদ্দেশ্যে আন্দোলনের মাঠে নেতাকর্মীদের মনোবল আরও দৃঢ় করা।
আরও পড়ুন: ‘মিথ্যা মামলা দিয়ে জনগণকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায় আ’লীগ’
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপির তিন সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের আয়োজনে রাজশাহী বিভাগের ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ রোববার সকালে বগুড়া থেকে শুরু হয়েছে। জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ ও পাবনার নেতাকর্মীরা এই রোডমার্চে বগুড়া থেকে যোগদান করেন। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া হাট চত্বরে এক পথসভায় রোডমার্চের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। বিকেলে রাজশাহী গিয়ে এই রোডমার্চ শেষ হবে।
Advertisement
জেএস/জেআইএম