জাতীয়

বরাদ্দ পেলে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম বাড়ানো হবে: মেয়র

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পেলেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। এতে প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা আরও বেশি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

Advertisement

রোববার চট্টগ্রামে থিয়েটার ইনস্টিটিউটে কলেরা টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটির মেয়র রেজাউল। এরপর বিকেলে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে জাতিসংঘ শিশু তহবিলের স্বাস্থ্য শাখার প্রধান মায়া ভ্যানডেনেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এসময় মেয়র বলেন, চসিক বাংলাদেশের একমাত্র সিটি করপোরেশন যেটি নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়। একসময় চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের সুনাম ছিল সারাদেশে। তবে, পরবর্তীতে পর্যাপ্ত মনোযোগ না দেওয়ায় চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ তার জনসেবার ঐতিহ্য হারিয়েছে। এই মেয়াদে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের দুর্দশা দূর করতে নানান পদক্ষেপ নিয়েছি। হাসপাতালকে ঢেলে সাজিয়েছি, অর্থোপেডিক পুনর্বাসন কেন্দ্র গড়ে তুলেছি। মাতৃসেবা সম্প্রসারণের পাশাপাশি বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল গড়ার পরিকল্পনাও আছে আমার।

তিনি আরও বলেন, নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ৫৬টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সেবা দেয় চসিক। করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি ডেঙ্গুরোগীদের বিনামূল্যে পরীক্ষাও করেছে চসিক। তবে স্বাস্থ্যসেবার জন্য আমাদের সম্পূর্ণরূপে নিজেদের রাজস্ব আয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়। এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পেলে বর্তমান অবকাঠামো ও জনবল ব্যবহার করেই চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম বাড়িয়ে বেশি প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব।

Advertisement

অনুষ্ঠান দুটিতে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন ডাইরেক্টর, কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোলের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম, আইসিডিডিআরবির সিনিয়র কনসালটেন্ট ড. ফিরদৌসি কাদরী, জাতিসংঘ শিশু তহবিলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফিল্ড অফিসের প্রধান মাধুরী বানার্জী, হেলথ স্পেশালিষ্ট ডা. রিয়াদ মাহমুদ।

এমডিআইএইচ/জেডএইচ/জেআইএম