রাশিয়ায় সফর শেষ করেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে গত মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ায় পৌঁছান তিনি। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাশিয়া সফরের শেষ দিনে উপহার হিসেবে কিমকে পাঁচটি বিধ্বংসী ড্রোন, একটি পর্যবেক্ষক ড্রোন এবং একটি বুলেটপ্রুফ পোশাক উপহার দিয়েছে রাশিয়া।
Advertisement
দেশটির প্রিমোরি অঞ্চলের গভর্নর তাকে এসব উপহার দিয়েছেন বলে জানা গেছে। গত শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিভোসতকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কিম। সেখানে তিনি হাইপারসনিক মিসাইল সিস্টেমসহ অত্যাধুনিক অস্ত্র পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: কিমের আমন্ত্রণ গ্রহণ, উত্তর কোরিয়ায় যাবেন পুতিন
তাস নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতাকে পাঁচটি কামিকাজে ড্রোন এবং একটি জেরান-২৫ পর্যবেক্ষণ ড্রোন উপহার দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
ওই প্রতিবেদনে আরও জানানো হয় যে, প্রিমোরি অঞ্চলের গভর্নর কিম জং উনকে একটি বুলেটপ্রুফ পোশাক দিয়েছেন। এ ধরনের বিশেষ পোশাক থার্মাল ক্যামেরা দিয়েও শনাক্ত করা যায় না।
রোববার রাশিয়ায় দীর্ঘ সফর শেষ করে বিশেষ ট্রেনে করে উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন কিম। রাশিয়ায় তিনি ৬ দিনের সফরে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এই সফরে উত্তর কোরিয়ায় সফরের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার এই আমন্ত্রণ গ্রহণও করেছেন পুতিন। তিনি জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ায় সফর করবেন। তবে উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার এই সম্পর্কের উন্নয়ন ভালো ভাবে দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্র দেশগুলো।
নতুন করে এই দুই দেশের কাছাকাছি আসার ফলে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক শক্তি আরও শক্তিশালী হতে পারে এবং উত্তর কোরিয়ার হাতে সংবেদনশীল ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির সরবরাহ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন।
Advertisement
আরও পড়ুন: ‘পবিত্র যুদ্ধে’ রাশিয়ার প্রতি পূর্ণ সমর্থনের প্রতিশ্রুতি কিমের
উত্তর কোরিয়ার বার্তা সংস্থা কেসিএনএ কিমের সফরের সময়কার পরিবেশকে উত্তেজনাপূর্ণ এবং উষ্ণ বলে বর্ণনা করেছে। উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্ব, সংহতি ও সহযোগিতার একটি নতুন যুগ শুরু হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ ও এই যুদ্ধকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে এমন কয়েকটি দেশের মধ্যে উত্তর কোরিয়া অন্যতম। কিম বলেছেন, তিনি এই যুদ্ধকে একটি ন্যায়পরায়ণ প্রচেষ্টা বলে মনে করেন এবং উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার সাথে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে প্রস্তুত।
টিটিএন