ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনেৎস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার হামলায় পাঁচ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও একজন। ওই অঞ্চলে রাশিয়ার নিয়োগকৃত এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দনেৎস্ক অঞ্চলের কিরোভ এবং কুইবিশেভস্কি জেলায় রাশিয়ার কামানের আঘাতে পাঁচ বেসামরিক প্রাণ হারায়। এছাড়া সভেৎলোদারস্ক শহরে আরও এক নারী আহত হন। ওই অঞ্চলে রাশিয়ার নিয়োগকৃত প্রধান কর্মকর্তা ডেনিস পুশিলিন টেলিগ্রামে এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
এদিকে রাশিয়া দাবি করেছে যে, স্থানীয় সময় রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি তেলের ডিপোতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এতে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: তৈরি থাকুন, ইউক্রেন যুদ্ধ শিগগির শেষ হচ্ছে না: ন্যাটো প্রধান
ওরিয়লের আঞ্চলিক গভর্নর অ্যান্ড্রেই ক্লিচকোভ জানিয়েছেন, ড্রোন হামলার কারণে একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কে আগুন ধরে গেছে। যদিও পরবর্তীতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
Advertisement
তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই হামলার ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। সব ধরনের জরুরি সেবার সদস্যরা সেখানে কাজ করছেন।
এদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন পাল্টা আক্রমণ শুরু করলেও এই যুদ্ধ খুব শিগগির শেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ। তিনি বলেছেন, শুরুর দিকে যা ধারণা করা হয়, বেশিরভাগ যুদ্ধই তার চেয়ে বেশিদিন টিকে। তাই আমাদের অবশ্যই ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।
জার্মানির ফাঙ্ক মিডিয়া গ্রুপকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন ন্যাটো মহাসচিব। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত হয়েছে সাক্ষাৎকারটি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধে ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি খরচ যুক্তরাষ্ট্রের
Advertisement
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ শুরু করেছিল রাশিয়া। গত জুনে তার পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে ইউক্রেন। রুশ বাহিনীর হাত থেকে ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চল পুনরুদ্ধারের এই প্রচেষ্টায় অবশ্য এখন পর্যন্ত খুব একটা সফল হতে পারেনি কিয়েভ।
স্টলটেনবার্গ বলেছেন, আমরা সবাই দ্রুত শান্তির আশা করছি। তবে একই সঙ্গে এটিও স্বীকার করতে হবে, যদি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউক্রেনীয়রা লড়াই বন্ধ করে দেন, তাহলে তাদের দেশের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। যদি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও রাশিয়া অস্ত্র নামিয়ে রাখে, তাহলেই শান্তি আসবে।
টিটিএন