হোজাইফা (রা.) বলেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন আবর্জনা ফেলার জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলেন। তারপর পানি আনতে বললেন। আমি তাকে পানি এনে দিলে তিনি অজু করলেন। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
Advertisement
এ হাদিস থেকে যে শিক্ষাগুলো আমরা পাই
১. এই হাদিস থেকে বোঝা যায় দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা নাজায়েজ বা অবৈধ নয়। ওলামায়ে কেরাম বলেন, দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা দুটি শর্তে জায়েজ।
এক. সতর বা লজ্জাস্থান মানুষের কাছে প্রকাশ পাবে না।
Advertisement
দুই. প্রস্রাব ছিটা শরীর বা কাপড়ে লাগবে না।
২. দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা জায়েজ হলেও উত্তম হলো বসে প্রস্রাব করা। রাসুল (সা.) বেশিরভাগ সময় বসেই প্রস্রাব করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, কেউ যদি বলে রাসুল (সা.) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেছেন, সেটা সত্য মনে করো না। রাসুলের (সা.) ওপর কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার পর থেকে তিনি কখনো দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেননি। (মুসনাদে আহমদ)
অর্থাৎ রাসুল (সা.) বেশিরভাগ সময়ই বসে প্রস্রাব করেছেন। তার সহধর্মিণী আয়েশা (রা.) তাঁকে কখনো দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে দেখেননি। প্রয়োজনে জীবনে কয়েকবার হয়তো তিনি দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেছেন।
৩. অজু ভেঙে যাওয়ার পর তখন নামাজ আদায়ের ইচ্ছা না থাকলেও অজু করে নেওয়া মুস্তাহাব। দিনের বেশিরভাগ সময় অজু অবস্থায় থাকা মুস্তাহাব। উল্লিখিত হাদিসে দেখা যাচ্ছে, নবিজি (সা.) প্রস্রাব করার পরই পানি আনতে বলেছেন এবং অজু করেছেন।
Advertisement
রাসুলের মুক্তিপ্রাপ্ত দাস সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত নবিজি (সা.) বলেছেন,
اسْتَقِيمُوا وَلَنْ تُحْصُوا وَاعْلَمُوا أَنَّ خَيْرَ أَعْمَالِكُمُ الصَّلاَةُ وَلاَ يُحَافِظُ عَلَى الْوُضُوءِ إِلاَّ مُؤْمِنٌরাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা দ্বীনের ওপর অবিচল থাকো, যদিও তোমরা আয়ত্তে রাখতে পারবে না। জেনে রাখো, তোমাদের আমলসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম হলো নামাজ। শুধু মুমিন ব্যক্তিই অজুর হেফাজত করে। (ইবনে মাজা, মুসনাদে আহমদ)
ওএফএফ/এসইউ/এমএস