হবিগঞ্জে ভুয়া তালাক বানিয়ে ভুক্তভোগীর মামলায় গ্রেফতার হলেন আনোয়ার হোসেন (৫৬) নামের এক স্কুলশিক্ষক। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
Advertisement
আনোয়ার হোসেন সদর উপজেলার রিচি উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্ম বিষয়ের শিক্ষক। এ ঘটনায় তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিয়ে ছাড়াই এক শিক্ষক আরেক শিক্ষিকাকে তালাক দিয়েছেন। বিষয়টি দুঃখজনক। বিধিমোতাবেক শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, আদালতের আদেশে মামলাটি এফআইআর করা হয়েছে। শুক্রবার আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন: ভুয়া তালাকনামা দেখিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে, অতঃপর কারাগারে
স্থানীয়রা জানায়, ধর্মশিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক মৌলভী আনোয়ার হোসেন বিবাহিত। তিনি দুই সন্তানের জনক। ওই শিক্ষিকার স্বামী নেই। তার এক মেয়ে বিবাহিত। পাঁচ মাস আগে আনোয়ার হোসেন নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট করে ওই শিক্ষিকাকে তালাক দেন। অথচ তাদের মধ্যে কোনো বৈবাহিক সম্পর্ক হয়নি। আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী এফিডেভিটের কপি ওই শিক্ষিকাকে দিয়ে তার স্বামীকে হয়রানী না করতে সাবধান করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি আনোয়ার হোসেনকে শোকজ করে।
জবাবে শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, তার স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ ও সন্দেহপ্রবণ। স্ত্রীকে বুঝ দিতে এফিডেভিট করে স্ত্রীর হাতে তালাকনামাটি দিয়েছিলাম। এ জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে সম্প্রতি স্কুল ম্যানেজিং কমিটি তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে।
এদিকে প্রতারণার শিকার ওই শিক্ষিকা গত সোমবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে মামলা করেন। মামলাটি এফআইআর করার জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আদেশ দেন। পরে শুক্রবার আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।
Advertisement
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/আরএইচ/জেআইএম