বেশ কিছুদিন ধরেই তাসকিন ইস্যুতে সরব দেশের গণমাধ্যম। আইসিসির নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি যেন কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিল না দেশের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। চুপ থাকেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও। তাসকিন আহমেদের বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষার প্রক্রিয়াগত বিভিন্ন ত্রুটি তুলে ধরে আইসিসিকে মেইল করে তারা। তবে আইসিসির পক্ষ থেকে কোন ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় নিয়মানুযায়ী জুডিশিয়াল কমিশনারের কাছে রিভিউয়ের জন্য আবেদন করে বিসিবি। এরই ধারাবাহিকতায় শুনানি শেষে বুধবার (২৩ মার্চ) তাসকিন আহমেদের বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার বিষয়টি জানায় আইসিসির জুডিশিয়াল কমিশন। তবে বিপত্তি বাধে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন নিয়ে। দেশের প্রথম সারির অধিকাংশ মিডিয়া "তাসকিনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার" শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করে। আর তাতেই আনন্দে মেতে উঠে ক্রীড়াপ্রেমীরা। কিন্তু সেই আনন্দ খুব একটা দীর্ঘ হয়নি। খানিক বাদেই সংবাদটি প্রত্যাহার করে নেয় গণমাধ্যমগুলো। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সবাই।সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যেমে নিজেদের ক্ষোভের কথা লিখেছেন অনেকে।রুশাদ রাসেল লিখেছেন, যখন দেশে অগণিত বাংলা চ্যানেল ছিল না তখন চ্যানেল আই আর এটিএন বাংলা চ্যানেল দেখতাম। না জানি কত ভুল জিনিস দেখে ফেলেছি এইটার মত তখন...নওরিন আক্তার লিখেছেন, কিছু সাংবাদিক ইংরেজি বুঝে না। বহাল রাখাকে মনে করে প্রত্যাহার করা! কিছু হইলো?শাওন আহমেদ লিখেছেন, অযথা মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলা করা আরকি!!! এইটা কোন কথা হইলো। সাংবাদিকরা কি আপহেল্ড মানে জানে না???তানজিলা আলম লিখেছেন, বুজলাম না, তাসকিনের খবরটা সাংবাদিকরা কে কার আগে দিবে এমনটা না করলেই পারত!!! এর চাইতে তারা দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করলেই পারে। তখন দেখা যাবে কে কত দৌড়ে আগে যেতে পারে...তবে সকল প্রকার সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের আরো সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অনেকে। উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ এবং স্পিনার আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন দুই অনফিল্ড আম্পায়ার এস রবি এবং রড টাকার। এর পরদিন আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ তোলে আইসিসিও।এরপর গত ১২ মার্চ সানি ও ১৫ মার্চ তাসকিন চেন্নাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেকানিক্যাল সেন্টারে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়ে আসেন। সানির পরীক্ষার ফলাফল এক সপ্তাহ পর দিলেও তাসকিনের ফলাফল পাওয়া যায় চার দিনের মাথায়। এতে নিষিদ্ধ হন দু’জনই।আরএ/এমআর/এসএস
Advertisement