আন্তর্জাতিক

‘সাহায্য নয়, বিনিয়োগ’ পেতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন জেলেনস্কি

আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এসময় হোয়াইট হাউসে বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। জেলেনস্কির সফরকালে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য আরও ২ হাজার ১০০ কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Advertisement

গত সপ্তাহেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ১০০ কোটি ডলারের সহায়তা ঘোষণা করেছেন। বাড়তি ২ হাজার ১০০ কোটি ডলারের প্যাকেজ নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে এখনো বিতর্ক চলছে। এই পরিস্থিতিতে ক্যাপিটল হিলে গিয়ে সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে পারেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট।

আরও পড়ুন>> ইউক্রেন যুদ্ধে ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি খরচ যুক্তরাষ্ট্রের

এর আগে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন জেলেনস্কি। মার্কিন কংগ্রেসে বক্তৃতাও করেছিলেন তিনি।

Advertisement

এবার জেলেনস্কি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে যে অর্থ দিচ্ছে তা কোনো ‘সাহায্য’ নয়, এটি আসলে ‘বিনিয়োগ’। একে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়তে বিনিয়োগ হিসেবে ধরা উচিত।

সম্প্রতি বাইডেন ইউক্রেনকে ২ হাজার ১০০ কোটি ডলারের সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার সামরিক খাতে এবং বাকি ৮০০ কোটি ডলার মানবিক খাতে ব্যয় করার কথা বলেছেন তিনি।

আরও পড়ুন>> ইসরায়েলের মতো হতে চায় ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিরাপত্তা দাবি

বাইডেনের এই সহায়তা প্রস্তাব নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে চূড়ান্ত বিতর্ক শুরু হয়েছে। রিপাবলিকানদের একটি অংশ ইউক্রেনের পেছনে আর এত অর্থ খরচের বিরোধী।

Advertisement

যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য সাম্প্রতিক জি-২০ বৈঠকে বলে গেছে, ইউক্রেনকে সবধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। যতদিন প্রয়োজন হবে, ততদিনই সাহায্য করা হবে।

এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধের পেছনে বাইডেন প্রশাসন এ পর্যন্ত ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি খরচ করেছে। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফক্স নিউজ।

আরও পড়ুন>> ‘মিথ্যা তথ্য’ দিয়ে ন্যাটোকে যুদ্ধে জড়ানোর চেষ্টা করছে ইউক্রেন?

গত জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজের কাছে ইউক্রেনকে দেওয়া নিরাপত্তা সহায়তার বিস্তারিত জানতে চেয়ে হোয়াইট হাউজের ব্যবস্থাপনা ও বাজেট অফিসে (ওএমবি) চিঠি দিয়েছিলেন ৩০ জনেরও বেশি রিপাবলিকান সিনেটর। এর জন্য ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন তারা।

কিন্তু চিঠি দেওয়ার সাত মাসেরও বেশি সময় পর গত ১১ সেপ্টেম্বর জবাব দিয়েছে ওএমবি। এতে দেখা যায়, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সহায়তার হিসাবসহ এগুলো দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন ওএমবি পরিচালক শালানদা ইয়াং।

তিনি বলেছেন, রাশিয়ার নৃশংস আক্রমণের পরে নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় লড়াই করছে ইউক্রেন। এ কারণে তাদের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সমর্থন যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের সাফল্য ও কঠোর পরিস্থিতিতে এর জনগণের টিকে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

আরও পড়ুন>> ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

চিঠির সঙ্গে সহায়তার বিবরণের একটি চার্টও যুক্ত করেছেন ওএমবি পরিচালক। এতে দেখা যায়, ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত সর্বমোট ১০ হাজার ১১৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার খরচ করেছে এবং এর বাইরে আরও ৯৮০ কোটি ডলারের সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে, ফক্স নিউজকেএএ/