কাজের জন্য যেসব প্রবাসী শ্রমিক বিদেশে যান, বিমানবন্দরে তারা এমনভাবে নিগৃহীত হন যেন তারা অপরাধী। এমনকি প্রবাসী শ্রমিকরা দেশে ফেরার সময়ও হয়রানির শিকার হন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী (সংশোধন) বিল পাস হয়েছে। এর আগে বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো হয় ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়। বিলের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী বিল পাস
সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘নারীরা লাশ হয়ে ফিরে আসছেন। কিন্তু স্বাভাবিক মৃতু বলে দিচ্ছে। দেশে মরদেহ আসার পর পোস্টমর্টেম করা উচিত। এভাবে প্রবাসে গিয়ে নির্যাতিত হয়ে মৃত্যুবরণের চেয়ে দেশে কাজের সুযোগ করে দেওয়া উচিত। যারা কাজের উদ্দেশে বিদেশে যান, বিমানবন্দরে এমনভাবে নিগৃহীত হন যেন তারা অপরাধী। আসার সময়ও হয়রানির শিকার হন। বিমানবন্দরে তাদের জন্য আলাদা ডেস্ক করা দরকার।’
Advertisement
সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘পাসপোর্ট-অ্যাম্বাসি ওনাদের হাতে না। ওয়ান স্টপ সার্ভিসে আসতে হবে। এই রেমিটেন্স বাদ দিলে কী আছে? পোশাক খাতের আয়ের ৮০ শতাংশ কাঁচামালে চলে যায়। একমাত্র রেমিটেন্স সরাসরি রিজার্ভে যোগ হয়। তাদের বরাদ্দ খুবই কম। এয়ারপোর্টে হয়রানি হচ্ছে। লাউঞ্জ হওয়া দরকার আলাদা।’
আরও পড়ুন: ইসির চূড়ান্ত নিবন্ধন পেল ৬৬ পর্যবেক্ষক সংস্থা
গণফোরামের মোকাব্বির খান বলেন, ‘নারী শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্যে যায়। তাদের দুরবস্থার কথা সবার জানা। কিন্তু কার্যকর উদ্যোগ দূতাবাস নেয় কি না তা জানা যায়? বিধান সংযুক্ত করার দাবি জানাবো, নারী শ্রমিক যাওয়ার তিন মাসের মধ্যে যে কাজে গিয়েছেন এবং তার স্বাস্থ্যগত অবস্থার বিষয়ে একটি রিপোর্ট দিতে।’
আইএইচআর/কেএসআর/জিকেএস
Advertisement