আগুনে পুড়ে গেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের শতাধিক দোকান। অগ্নিকাণ্ডে সব হারিয়ে দিশেহারা অনেক ব্যবসায়ী। এ মার্কেটে সবজির দোকানের পাশাপাশি জুতার দোকান, সোনার দোকানসহ অনেক ধরনের দোকান রয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, মার্কেটের ভেতরের ফুটপাতে বসা অসংখ্য ছোট দোকানের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে। দ্রুত আগুন ছড়ানোর কারণে মালামাল বের করতে পারেননি তারা। আবার আগুন লাগার সময় মার্কেটে ছিল না পাহারাদার। আছে লুটপাটের অভিযোগ।
Advertisement
চন্দ্রবিন্দু ফ্যাশনের মালিক কবীর হোসেনের দোকান পুড়ে ক্ষতি হয়েছে প্রায় কোটি টাকার। জাগো নিউজকে কবীর হোসেন বলেন, ‘(দোকান থেকে) যা বের করেছি, সেগুলো তো অচল। অচল পয়সা কতটুকু? টাকা ছিড়ে গেলে বা পুড়ে গেলে সেই টাকা কি চালানো যায়? পোশাকে সামান্য ছিদ্র থাকলে সেটা কেউ নিতে চায় না, যা বের করেছি, সেগুলো চালানো মুশকিল। মালামাল ছিল প্রায় ৫০ লাখ টাকার। ডেকোরেশনসহ প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে কোনো ফায়ার সেফটি ছিল না
তিনি বলেন, ‘আমার দোকান ছিল, গোডাউন ভরা মাল ছিল। এগুলো কে দেখবে? আমার বাসা কাছেই, সকালে শুনি কৃষি মার্কেটে আগুন লেগেছে। লুঙ্গি পরেই চলে এসেছি। ফায়ার সার্ভিস আসতে অনেক দেরি করেছে।’
Advertisement
আগুনের পর লুটপাট ও মার্কেটের ফুটপাতে দোকান প্রসঙ্গে এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘লুটপাট কারা করছে বলতে পারবো না। কারা ফুটপাত বসায় সেটা বলতে পারবো না। সবাই জানে, আপনারাও জানেন। গলিতে ছোট দোকানের ফলে কাস্টমার ঢুকতে পারে না। গলি ভুলে যায়। এখন অনেকেই আসছে। কিন্তু আমাদের এসব সমস্যা কেউ দেখতে আসেনি। আজ আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। এখন অনেকেই দেখতে আসছেন। এই দেখায় কোনো কিছু যায় আসে না।’
আরও পড়ুন: ‘৪ লাখ টাকার মাল উঠিয়েছি, চারটা পোশাকও বিক্রি করতে পারিনি’
গলির ছোট দোকানের বিষয়ে মার্কেট সমিতিকে কিছু জানানো হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে কবীর হোসেন বলেন, ‘আমরা যদি বলি একটা কমান, তাহলে আরও দুইটা (দোকান) বাড়ে। আমরা কোথায় বলবো, কাকে বলবো?’
এসএম/কেএসআর/জেআইএম
Advertisement