দেশজুড়ে

সড়কে ব্যাটারিচালিত ভ্যান-রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে চালকদের বিক্ষোভ

যশোরে ব্যাটারিচালিত ভ্যান ও রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে মিছিল ও সমাবেশ করেছেন চালকরা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের বিভিন্ন স্পটে প্রতিবাদমুখর অবস্থানে ছিলেন তারা। এসব স্পটে বিক্ষোভকারীরা চলাচলরত রিকশা, ভ্যান থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেন। ফলে পায়ে হেঁটে গন্তব্য যেতে হয় স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীদের। পরে শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা ভৈরব চত্বরে সমাবেশ করেন চালকরা।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, বিআরটিএ কর্তৃক লাইসেন্স প্রদান করে সড়কে ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলার অনুমতি দিতে হবে, রিকশা থেকে বেআইনিভাবে মোটর ও ব্যাটারি খুলে নেওয়া বন্ধ করতে হবে, অবিলম্বে এসব চালকদের ক্ষতিপূরণ ও সড়কে চলার অনুমতি দিতে হবে।

শহরের আদ-দ্বীন হাসপাতাল মোড়ে রিকশাচালক জয়নাল মিয়া বলেন, ‘বুড়ো মানুষ মটোরের রিকশা চালাই। এনজিওর ঋণ নিয়ে রিকশা বানাইছি। এখন হঠাৎ করে প্রশাসন বলছে, মোটরের রিকশা চলবে না। তাহলে এনজিও ঋণ শোধ করবো কী করে? আর খাবো বা কী?’

Advertisement

শহরের আপন মোড় এলাকায় বিক্ষোভকারীরা রিকশা থেকে নামিয়ে দেন মহিলা কলেজের ছাত্রী ফারজানা আক্তারকে। তিনি বলেন, ‘সকালে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রিকশায় করে বের হয়। কিন্তু আপন মোড়ে এসে গাড়ি আটকে দেন অন্য রিকশাচালকরা। তারা রিকশা থেকে নামিয়ে দিলে পায়ে হেঁটে কলেজে যেতে হচ্ছে।’ খড়কি এলাকার ব্যাংক কর্মকর্তা আনোয়ার জাহিদ বলেন, ‘অফিস যাবো। রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু রাস্তায় কোনো রিকশা নেই।’

এ বিষয়ে যশোরে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মোটরচালিত অটোরিকশার মোটর ও ব্যাটারি খুলে নেওয়া হচ্ছে। গত তিনদিনের অভিযানে অটোরিকশা ও ইজিবাইক মিলিয়ে দুইশোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

যশোরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) বেলাল হোসাইন জানান, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলেছে। দ্রুত সব সমস্যার সমাধান হবে। শহরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আছে।

জানতে চাইলে যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, অবৈধ মোটরচালিত রিকশা, ভ্যান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিনিয়ত এসব যানে দুর্ঘটনা ঘটছে। এ কারণে জেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় অবৈধ মোটরচালিত রিকশা ও ভ্যানের বিরুদ্ধে অভিযানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Advertisement

মিলন রহমান/এসআর/জিকেএস