রাজধানীর মোহাম্মাদপুরের কৃষি মার্কেটে কাপড়ের দুটি দোকান ছিল ফজলুল হকের। দোকানে ছিল প্রায় ৫০-৬০ লাখ টাকার মালামাল। আর কয়েক লাখ নগদ টাকা। কিন্তু আগুনে সব পুড়ে এখন নিঃস্ব এই ব্যবসায়ী।
Advertisement
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, কাল আমি চার লাখ টাকার মালামাল উঠেয়েছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত চার টাকার মালও বিক্রি করতে পারি নাই। তার আগেই সব শেষ। কোনো কিছুই বের করতে পারিনি। কয়েক লাখ ক্যাশ টাকাও পুড়েছে।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে কোনো ফায়ার সেফটি ছিল না
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টা ৪৩ মিনিটের দিকে কৃষি মার্কেটে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার ২৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে ২১৭টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। সংস্থাটি জানায় মার্কেটটিতে ৩১৭টি দোকান ছিল।
Advertisement
এদিকে আগুনে সব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ মার্কেটে সবজি দোকানের পাশাপাশি জুতার দোকান, সোনার দোকানসহ অনেক ধরনের দোকান রয়েছে।
ব্যবসায়ী ফজলুল হক বলেন, দীর্ঘ দুই যুগ ধরে এখানে ব্যবসা করছি। এভাবে দোকান পুড়ে গেলো, কবে ঠিক হবে, কীভাবে চলবে আবার কবে এখানে বসতে পারবো আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।
আরও পড়ুন: মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ থাকলে ভেঙে দেওয়া হলো না কেন: দোকান মালিক সমিতি
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখানে অনেক সোনার দোকান আছে। কাপড়ের দোকান।
Advertisement
আগুনের সূত্রপাত প্রসঙ্গে বলেন, আমি রাত ৩টায় জেনেছি আগুন লাগার খবর। এসে দেখি একটা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আর ৩টা লোক। দুজন পাইপ টানছে, একজন দৌড়াদৌড়ি করছে। তারপর আরেকটা গাড়ি এসেছে। আমরা বারবার বলেছি মাঝ মার্কেটে পানি দেন, কিন্তু তারা আমাদের কথা শুনেননি। কেন যে তারা এরকম করলো জানি না। তারা যদি ঢুকতো, আমাদের মার্কেটটায় হিজিবিজি গলি না। পরিকল্পিত মার্কেট।
আরও পড়ুন: ২১৭ দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: ডিএনসিসি
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, কৃষি মার্কেটে কোনো ফায়ার সেফটি ছিল না। ফুটপাত ও সড়কে দোকান থাকায় এবং মানুষের ভিড়ের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়েছে।
এসএম/জেডএইচ/এএসএম