স্কুল থেকে শিশুরা বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে এমন অভিযোগ অসংখ্য অভিভাবকের। রাজধানীসহ সারাদেশের অনেক নামি স্কুল-কলেজের আঙিনা, মাঠ, টয়লেট অপরিচ্ছন্ন বলেও গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বারবার মশা নিধন ও প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। তবে সেই নির্দেশনা প্রতিপালনে অনীহার অভিযোগ রয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
Advertisement
এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মশার প্রজনন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিশেষ সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের নির্দেশও দেওয়া হয়।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব মো. গোলাম জাকারিয়ার সই করা এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাউশি, ইউজিসি ও শিক্ষা বোর্ডগুলোতে পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে গত ১০ আগস্ট ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে বিশেষ সভা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা, মশক নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে বিশেষ সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
Advertisement
চিঠিতে আরও বলা হয়, আরেকটি সিদ্ধান্ত ছিল সব সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, তাদের আবাসিক এলাকাগুলো স্ব স্ব কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন ও মশার প্রজনন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সহায়তা গ্রহণ করবেন।
সভার এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অধীনস্থ বিভিন্ন দপ্তরকে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
গত ২৩ আগস্ট মাউশি ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি, প্রতিকার ও প্রতিরোধ বিষয়ে প্রকল্পভিত্তিক শিখন কার্যক্রম বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়। এসব কার্যক্রম মূল্যায়ন হিসেবে ধার্য হবে এবং নম্বর দিবেন শিক্ষকরা। এ নম্বর পরে মূল নম্বরের সঙ্গে যোগ হবে।
অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য এ কার্যক্রম ধারাবাহিক মূল্যায়নের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে। ৩১ আগস্ট থেকে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
Advertisement
এএএইচ/এসটি/এএসএম