শিক্ষা

সব শ্রেণিতে সনদ পাবে শিক্ষার্থীরা, রেজিস্ট্রেশন আগামী বছর

নতুন শিক্ষাক্রমে সব শ্রেণিতে সনদ পাবে শিক্ষার্থীরা। বছর শেষে পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে এ সনদ দেওয়া হবে। এজন্য তাদের স্কুলে নির্ধারিত ফি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ (২০২৪) থেকে এ রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে। সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। যেকোনো একটি শ্রেণিতে একবার ফি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করলেই হবে। পরে প্রতি শ্রেণিতে তা আপডেট করলে নিবন্ধনভুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে ওই শিক্ষার্থী।

Advertisement

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান এ তথ্য জানিয়েছেন। তারা বলছেন, নতুন একটি অ্যাপ তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। তা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স (পারদর্শিতা) তথ্য রেকর্ড রাখা হবে। বছর শেষে তা মূল্যায়ন করে সনদ দেওয়া হবে।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এটি কার্যকর হবে। কেউ ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করলে পরবর্তীতে তাকে আর রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না।

অ্যাপ তৈরির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখনো তো অ্যাপ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তৈরি করবে এটুআই। এজন্য আমরা তাদের চিঠি দেবো। সঠিকভাবে এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা গেলে শিক্ষার্থীরাই লাভবান হবে।’

Advertisement

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হবে। এর মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করা হবে। কোন শ্রেণিতে কত শিক্ষার্থী রয়েছে, তার সুস্পষ্ট চিত্র আমাদের কাছে থাকবে। পাবলিক পরীক্ষার আগে গিয়ে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের যে চাপ তৈরি হয়, তাও আর থাকবে না।

এনসিটিবি সূত্র বলছে, চলতি বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। ২০২৪ সালে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পাঠদান করানো হবে। অর্থাৎ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের প্রায় সব শ্রেণিতে পুরোদমে চালু হয়ে যাবে নতুন শিক্ষাক্রম। নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতিও ভিন্ন।

অন্যদিকে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে নতুন এ শিক্ষাক্রম চালু হবে ২০২৫ সালে। ওই বছর অর্থাৎ ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগে শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে ৬০ শতাংশ। বাকি ৪০ শতাংশ নম্বরের সামষ্টিক মূল্যায়ন করা হবে।

এএএইচ/এমআরএম/এমএস

Advertisement