ইউক্রেন যুদ্ধের পেছনে এ পর্যন্ত ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি খরচ করেছে বাইডেন প্রশাসন। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফক্স নিউজ। এ সংক্রান্ত নথিপত্রও হাতে পাওয়ার দাবি করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি।
Advertisement
গত জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজের কাছে ইউক্রেনকে দেওয়া নিরাপত্তা সহায়তার বিস্তারিত জানতে চেয়ে হোয়াইট হাউজের ব্যবস্থাপনা ও বাজেট অফিসে (ওএমবি) চিঠি দিয়েছিলেন ৩০ জনেরও বেশি রিপাবলিকান সিনেটর। এর জন্য ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন তারা।
আরও পড়ুন>> ইসরায়েলের মতো হতে চায় ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিরাপত্তা দাবি
কিন্তু চিঠি দেওয়ার সাত মাসেরও বেশি সময় পর গত ১১ সেপ্টেম্বর জবাব দিয়েছে ওএমবি। তাদের পাঠানো চিঠি ও হিসাবের নথি হাতে পেয়েছে ফক্স নিউজ।
Advertisement
এতে দেখা যায়, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সহায়তার হিসাবসহ এগুলো দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন ওএমবি পরিচালক শালানদা ইয়াং।
আরও পড়ুন>> ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
তিনি বলেছেন, রাশিয়ার নৃশংস আক্রমণের পরে নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় লড়াই করছে ইউক্রেন। এ কারণে তাদের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সমর্থন যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের সাফল্য ও কঠোর পরিস্থিতিতে এর জনগণের টিকে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ইয়াং বলেছেন, রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনীয়দের সহায়তার ব্যাপারে মার্কিন করদাতারা যেন আত্মবিশ্বাসী হতে পারেন, তার জন্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা জরুরি। এ বিষয়ে একমত বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
Advertisement
আরও পড়ুন>> ‘মিথ্যা তথ্য’ দিয়ে ন্যাটোকে যুদ্ধে জড়ানোর চেষ্টা করছে ইউক্রেন?
চিঠির সঙ্গে সহায়তার বিবরণের একটি চার্টও যুক্ত করেছেন ওএমবি পরিচালক। এতে দেখা যায়, ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত সর্বমোট ১০ হাজার ১১৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার খরচ করেছে এবং এর বাইরে আরও ৯৮০ কোটি ডলারের সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
তাছাড়া, ইউক্রেনের জন্য অতিরিক্ত ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার সহায়তা অনুমোদনের জন্য গত মাসে মার্কিন কংগ্রেসের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল হোয়াইট হাউজ। এর মধ্যে ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার প্রতিরক্ষা সহায়তায় এবং বাকি ১ হাজার ১০০ কোটি ডলার অর্থনৈতিক ও মানবিক সহায়তায় খরচ হবে বলে উল্লেখ করেছে বাইডেন প্রশাসন।
কেএএ/