জাতীয়

৫০০ দোকান পুড়ে ছাই, দাবি ব্যবসায়ীদের

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কৃষি মার্কেটের আগুনে প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। মার্কেট ও কাঁচা বাজারে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে প্রায় ৭০০-৮০০টি দোকান ছিল।

Advertisement

ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রথমে হক বেকারি থেকে আগুনের সূত্রপাত। পরে বাতাসে মুহূর্তেই সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মার্কেট বন্ধ থাকায় ফায়ার সার্ভিস প্রথমে এসে ভেতরে ঢুকতে পারেনি। এজন্য আগুন আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।

আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ১৮ সোনার দোকান পুড়ে ছাই

কৃষি মার্কেটে কাপড়ের দোকানি মাহবুব হাসান জাগো নিউজকে বলেন, তার দোকানে লাখ পাঁচেক টাকার মালামাল ছিল। প্রথমে হক বেকারিতে আগুন লাগে। পরে সেই আগুন ছড়িয়ে যায়। মার্কেটে ৫০০ এর বেশি দোকান পুড়েছে।

Advertisement

শফিকুল ইসলাম নামের জুতার দোকানি জাগো নিউজকে বলেন, প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভেতরে ঢুকতে পারলে আগুনে এত দোকান পুড়তো না। সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে আমাদের। দোকান থেকে কিছুই বের করতে পারিনি।

আরও পড়ুন: ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন কৃষি মার্কেট, বিস্ফোরণ হচ্ছে দাহ্য পদার্থ

ওয়াহিদ নামে কাপড়ের এক ব্যবসায়ী জানান, তিনি রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে যান। তখনো তার দোকানে আগুন লাগেনি। প্রায় ৩০ মিনিট পর দোকানে আগুন লাগে। দোকানটি মার্কেটের ভেতর হওয়ায় তিনি সেখানে যেতে পারেননি। দুই মার্কেটে প্রায় পাঁচশোর বেশি দোকান ছিল, সব পুড়ে গেছে।

জাকির হোসেনের ছিল সোনার দোকান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, মার্কেটের মাঝে দোকান হওয়ায় ভেতরে প্রবেশ করতে পারিনি। এজন্য দোকান থেকে টাকা-পয়সা কিংবা স্বর্ণালংকারও বের করা যায়নি।

Advertisement

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ মার্কেটটির দোকান মালিক সমিতির কাউকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। ফলে এ বিষয়ে তাদের কারো বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, কৃষি মার্কেটে কোনো ফায়ার সেফটি ছিল না। ফুটপাত ও সড়কে দোকান থাকায় এবং মানুষের ভিড়ের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়েছে। এখানে পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেই।

আরও পড়ুন: উৎসুক জনতার ভিড়, নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের

তিনি বলেন, মার্কেটটি অনেকটা বঙ্গ মার্কেটের মতো। দোকানের সামনেও দোকান ছিল।

এর আগে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ৩টা ৪৩ মিনিটের দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর একে একে তাদের ১৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দেয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর অগ্নিনির্বাপণ সাহায্যকারী দল। সবশেষ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।

টিটি/জেডএইচ/এমএস