তিনদিনের ছুটি কাটিয়ে দুবাই হয়ে কলম্বো ফিরে গেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বিসিবির সিনিয়র মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম মুঠোফোনে কলম্বো থেকে জাগো নিউাজকে নিশ্চিত করেছেন যে, বুধবার কলম্বো পৌঁছে বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ৮টায় জাতীয় দলের অনুশীলনেও যোগ দিয়েছেন টাইগার ক্যাপ্টে।
Advertisement
কিন্তু সদ্য দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের পর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় কলম্বো ফিরতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। ঢাকায়ই থেকে গেছেন এবং বিসিবি থেকে বুধবার পড়ন্ত বিকেলেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, শুক্রবার ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচ খেলতে পারবেন না মুশফিক।
মুশফিক যেহেতু খেলবেন না। তার মানে অন্য কাউকে উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। মুশফিকের জায়গায় কে কিপিং করবেন? লিটন দাস নাকি এনামুল হক বিজয়? একাদশে কম্বিনেশন কী হবে?
কলম্বোয় জাতীয় দলের সঙ্গে থাকা বিসিবি সিনিয়র পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের কাছে মুঠোফোনে এ প্রশ্ন রাখা হলে তিনি বলেন, আজ বুধবার রাতের অনুশীলন শেষে বিষয়টা ঠিক হবে যে, কে কিপিং করবে?
Advertisement
জালাল যোগ করেন, ‘আসলে কিপারের ভূমিকায় কাকে দেখা যাবে, তা নির্ভর করছে কম্বিনেশনের ওপর। কম্বিনেশনই বলে দেবে কে কিপিং করবে?’
একইভাবে ঢাকায় নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলেও জানা যায়নি কিপার হিসেবে ভারতের বিপক্ষে কাকে খেলানো হবে? বলার অপেক্ষা রাখে না, বিজয় একাদশে থাকলেই শুধু তার কিপিং করার প্রশ্ন আসবে। আর না খেললে তো অটোমেটিক চয়েজ হিসেবে লিটন দাসকেই গ্লাভস হাতে উইকেটের পিছনে দেখা যাবে।
নির্বাচক ও জালাল ইউনুসের সাথে কথা বলে মনে হয়েছে, শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে কম্বিনেশন চূড়ান্ত করার কথা আজ অনুশীলনের পর।
এখন দেখার বিষয় কম্বিনেশনটা কেমন দাঁড়ায়? তার ওপর নির্ভর করছে বিজয়ের খেলা না খেলা। এদিকে ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তন আসলে বিজয়ের দলভুক্তির সম্ভাবনা বেশি থাকবে। সেক্ষেত্রে তার কিপিং করার প্রশ্ন আসবে। আবার মুশফিক না থাকায় ব্যাটিং অর্ডার ঠিক রাখতে হবে ব্যাটিং লাইন আপ দীর্ঘ করতে বিজয়কে ওপেন করানো কিংবা ওয়ান ডাউনে খেলানো হতে পারে।
Advertisement
তবে আভাস মিলেছে, ভারতের সাথে শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশ ভাল ও লড়াকু পারফরমেন্স দিয়ে এশিয়া কাপ শেষ করতে চায়। তাই একাদশে বড় ধরনের পরিবর্তন আর পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালানোর সম্ভাবনা খুব কম।
তবে ব্যাটারের সংখ্যা ঠিক রাখতে গেলে এনামুল হক বিজয়কে খেলানোর সম্ভাবনা থাকবে। কারণ নাজমুল হোসেন শান্তর পর মুশফিকও নেই। মানে দু’দুজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার নেই। সেক্ষেত্রে স্পেশালিস্ট ব্যাটার হিসেবে মুশফিকের জায়গায় বিজয় একাদশে ঢুকেও যেতে পারেন।
আর যদি কলম্বোর প্রেমাদাসর উইকেটের কথা মাথায় রেখে দল সাজানো হয়, তাহলে অফস্পিনার কাম লেট অর্ডার শেখ মাহদিকে খেলানোর সম্ভাবনাও আছে যথেষ্ঠ।
শুক্রবারও যদি নাইম শেখ আর মেহেদি হাসান মিরাজকে দিয়েই ওপেন করানো হয় তাহলে লিটন দাসকে তিন থেকে নিচে নামিয়ে চারে খেলানো হতে পারে। বিজয় ওয়ান ডাউন খেলতে পারে। তারপর লিটন দাস চারে, পাঁচে খেলবেন অধিনায়ক সাকিব। তাওহিদ হৃদয়ের জায়গা হতে পারে ছয় নম্বরে। সাত নম্বরে শামীম পাটোয়ারী, আট নম্বরে শেখ মাহদি আর নাসুমের একজন এবং বাকি তিন পজিসনে ৩ পেসার তাসকিন, শরিফুল আর হাসান মাহমুদ- এমনটাই হতে পারে ভারতের সাথে শেষ ম্যাচের একাদশ।
কলম্বোর প্রেমাদাসার উইকেট ধীরে ধীরে স্পিনারদের পক্ষে চলে যাচ্ছে। এখানে কুলদিপ যাদব, রবিন্দ্র জাদেজা, ওয়ালেলাগে এবং আসালাঙ্কা ও ধনঞ্জয় ডি সিলভারা রাজত্ব করছেন। সেখানে তিন পেসারের বদলে তিন স্পিনার এবং দুই পেসার দেখা গেলও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
এআরবি/আইএইচএস/ইএ