আন্তর্জাতিক

মিশরের স্কুলে নিকাব নিষিদ্ধ, জোর করা যাবে না হিজাবেও

মিশরের স্কুলগুলোতে ছাত্রীদের নিকাব পরা নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সরকার। হিজাব পরতেও কাউকে বাধ্য করা যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে তারা। মিশরের রাষ্ট্রায়াত্ত্ব সংবাদপত্র আহরামের বরাতে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা। হিজাব-নিকাব বিষয়ে গত সোমবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন মিশরীয় শিক্ষামন্ত্রী রেদা হেগাজি। এতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা স্কুলে তাদের চুল ঢাকবে কি না, সেটি তাদের একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। তবে কোনোভাবেই মুখ ঢাকা যাবে না।

Advertisement

আরও পড়ুন>> ভারত/ হিজাবপরা ছাত্রীদের স্কুলে ঢুকতে বাধা, প্রতিবাদ করায় ছাত্রকে মারধর

বিজ্ঞপ্তিতে সরাসরি নিকাব শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। এতে বলা হয়েছে, মুখ দেখা যাবে না, এমন কোনো চুলের আচ্ছাদন (হিজাব) গ্রহণযোগ্য নয় এবং আচ্ছাদনটি অবশ্যই মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় শিক্ষা অধিদপ্তর নির্বাচিত রঙের হতে হবে।

এই সিদ্ধান্ত আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে কার্যকর হবে। এটি শেষ হবে ২০২৪ সালের ৮ জুন।

Advertisement

সরকারের এই সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মিশরীয়রা। ব্যক্তিগত সুরক্ষার খাতিরে তাদের কেউই নামপ্রকাশে রাজি হননি।

আরও পড়ুন>> হিজাবের পর ফ্রান্সের স্কুলে নিষিদ্ধ বোরকাও

আলেকজান্দ্রিয়া থেকে ৩৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বলেছেন, তিনি স্কুলে নিকাব পরার বিপক্ষে। তার যুক্তি, শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে বা প্রয়োজনীয় মনোযোগ দেখানোর জন্য তাদের শারীরিক ভাষা ও মুখের অভিব্যক্তি বোঝা দরকার শিক্ষকদের। এতে বাধা সৃষ্টি করে স্কুলে এমন কোনো কিছুর অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।

৩৮ বছর বয়সী আরেক ব্যক্তি জানান, নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় তিনিও সরকারের সিদ্ধান্তের পক্ষে। তার মতে, স্কুলে কে ঢুকছে কে বের হচ্ছে কর্তৃপক্ষের তা শনাক্ত করতে পারা জরুরি।

Advertisement

আরও পড়ুন>> ইন্দোনেশিয়া/ হিজাব ঠিকভাবে না পরায় মাথা কামিয়ে দেওয়া হলো ১৪ ছাত্রীর

তবে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকে। কায়রো থেকে ৪৫ বছর বয়সী এক লেখক বলেন, সবখানে নারীরাই যে ভুক্তভোগী হন, এটি তার আরেকটি নমুনা।

৩৩ বছর বয়সী এক প্রকৌশলী বলেন, নারীরা স্কুলে নিকাব পরবে কি পরবে না, এটি তাদের স্বাধীনতার অংশ।

আরও পড়ুন>> হিজাব না পরা নারীদের শনাক্তে ক্যামেরা বসাচ্ছে ইরান

কেএএ/টিটিএন