জাগো জবস

ভিন্নধর্মী কাজ দিয়ে মন জয় করেছেন মনি

সৈয়দা জোবায়েদা শিরিন মনি। ডাকনাম মনি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইইউবিএটির শেষ বর্ষের মেধাবী ও ক্রিয়েটিভ শিক্ষার্থী। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। তবে শৈশব ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। বন্ধুসম অভিভাবক বড় বোনের হাত ধরে ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। সেখান থেকেই মূলত ট্র্যাভেল কনটেন্ট বানানোর স্বপ্নযাত্রা। কম সময়েই নিজের কনটেন্ট দিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন; যে কারণে বহু ব্র্যান্ড ও কর্পোরেট হাউজ এখন কাজ করতে চায় মনির সঙ্গে। এমনকি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সোশ্যাল ব্র্যান্ড পন্ডস ও ডাবের সঙ্গে কাজ করেছেন মনি। পশাপাশি কাজ করেছেন মোবাইল কোম্পানি টেকনোর সঙ্গে। সম্প্রতি কক্সবাজারের একটি ফাইভ স্টার হোটেলের সঙ্গেও কাজ করেন তিনি।

Advertisement

মনি খুবই বিনয়ী ও স্পষ্টভাষী মানুষ। অন্যকে সম্মান দেওয়া ও সহযোগী মনোভাব তার এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। আজ জানবো কনটেন্ট ক্রিয়েটর সৈয়দা জোবায়েদা শিরিন মনির এগিয়ে যাওয়ার গল্প। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন গোলাম রাব্বী—

জাগো নিউজ: আপনি তো এখনো পড়াশোনা করছেন; শুরুতেই এ বিষয়ে জানতে চাই—সৈয়দা জোবায়েদা শিরিন মনি: আমি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অবে বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) ইউনিভার্সিটিতে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করছি। এখন এলিভেন সেমিস্টার চলছে আমার। আশা করছি দ্রুতই গ্র্যাজুয়েশন শেষ হবে।

জাগো নিউজ: পড়াশোনার সঙ্গে ‘কনটেন্ট ক্রিয়েটর’ হিসেবে ক্যারিয়ারের যোগসূত্র স্থাপনের গল্পটি যদি বলতেন—সৈয়দা জোবায়েদা শিরিন মনি: কনটেন্ট ক্রিয়েশনে আসলে খুবই আচমকা আসা। একদমই তৈরি ছিলাম না কিন্তু আমার ছবি তোলা বা ভিডিওগ্রাফি করার লোভ কাজ করতো সব সময়। তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ ছিলাম না। আমি ফোন দিয়ে ভালো ভালো দৃশ্য যা দর্শকদের আকর্ষণ করে; এরকম দৃশ্য নিয়ে টুকটাক ভিডিও বানাতাম। তখন সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হতো না।

Advertisement

আরও পড়ুন: প্রোডাক্ট ডিজাইন থেকে মাসে আয় ৬ লাখ 

একদিন আমার বড় ভাই পরামর্শ দিলেন, আমার টিকটকে ভিডিও করা উচিত। তার মতে, টিকটকে একটি বড় ধরনের অডিয়েন্স আছে। যারা আমাকে ভিডিওগ্রাফির জন্য বা আমার কাজের জন্য ভালোবাসতে পারে। ওই বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় আমার টিকটকে আসা। কিন্তু আমি সে সময় ততটা অ্যাকটিভ ছিলাম না। এমনকি টিকটকে কন্টিনিউ করবো কি না বা আমার সোশ্যাল মিডিয়ায় আদৌ এত ভিউস হবে; জনপ্রিয় হবো তা ভাবনায়ও ছিল না। আবার আমার মাথায় তেমন কোনো আইডিয়াও তখন ছিল না।

তবে আমি দেখলাম, সবাই সিমিলার টাইপ জিনিস করছে সোশ্যাল মিডিয়া বা টিকটকে। আমার মনে হলো, নতুন কিছু দিলে নিশ্চয়ই সবাই পছন্দ করবে। ওই জায়গা থেকে আমি ভাবলাম, একটু ক্রিয়েটিভ কিছু বা একটু নতুন কিছু করা যায়। যেটি সচরাচর মানুষ দেখে না বা কাউকে পোস্ট করে না। এরকম কিছু করতে চেয়েছিলাম এবং ওই ভাবনা থেকে আমার কনসেপ্ট ডেভেলপ ও ডিফারেন্ট ভাবে আমার ভিডিওগুলো প্রেজেন্ট করা। এখন বুঝি, চার-পাঁচ জন মানুষের থেকে আমার ভিডিওগুলো অন্যরকম বা ডিফারেন্ট। তাই হয়তো খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভালো একটি অডিয়েন্স রিচ করতে পেরেছি।

জাগো নিউজ: আপনি অনেক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। কোন প্রতিষ্ঠান থেকে এমন আমন্ত্রণের শুরু?সৈয়দা জোবায়েদা শিরিন মনি: আমি আসলে অনেক ছোট একটি মানুষ। আমি কখনোই কল্পনাও করিনি যে, আমার কাজ, ভিডিওগ্রাফি বা কনটেন্ট মেকিং থেকে কোনো কোম্পানি আমাকে নিয়ে কাজ করতে চাইবে। এখন দেখি বহু ব্র্যান্ড ও কর্পোরেট হাউজ আমার সঙ্গে কাজ করতে চায়। তার মধ্যে কিছু সোশ্যাল ব্র্যান্ড; পন্ডসের সঙ্গে কাজ করেছি, ডাবের সঙ্গে কাজ করেছি এবং টেকনো মোবাইলের সঙ্গেও কাজ করেছি। আবার আরেকটি কাজের কথা না বললেই নয়, কক্সবাজারের একটি নামকরা ফাইভ স্টার হোটেলের সঙ্গেও কাজ করেছি। তারা আমাকে স্পন্সর করেছিল। আসলে এগুলো অনেকের কাছে সামান্য হলেও আমার কাছে বড় প্রাপ্তি। কেননা আমার ভিডিও দেখে যারা ইনফ্লুয়েন্স হবে, এটা আমার তো ভাবনাই ছিল না। আর যখন হয়েছে; তখন আমি গর্বিত বোধ করছি।

Advertisement

জাগো নিউজ: এতদূর আসার পেছনে অনুপ্রেরণা কোথা থেকে পেলেন?সৈয়দা জোবায়েদা শিরিন মনি: আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা হচ্ছে আমার বড় বোন। সে আমাকে সব সময় বলতো, তুমি এটাতে ভালো, তুমি এটাতে চেষ্টা করো, তুমি তাহলে অনেক কিছু করতে পারবা। যদিও আমার মনে হয়, আমি অনেক অলস মানুষ। আমি এসময় ওইগুলো ফোকাস করতাম না। সব সময় নিজের জন্য আনন্দ করতে পছন্দ করতাম। আমার বোন সব সময় পুশ করতো ‘টু মেইক ভিডিওজ’। আমি অনেক বেশি ট্রাভেল ভিডিও বানাই। এটা হচ্ছে আমার সিগনেচারস কনটেন্ট। অথচ দেখেন, আমার বাসা থেকে কখনো আমাকে ঘুরতে দিতে চাইতো না। পরিবার স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা করতো, আমি একটা মেয়ে আবার বয়সে অনেক ছোট। তবে এতকিছুর পরও যার কারণে এত এত স্বাধীনতা পেয়েছি, সুযোগ পেয়েছি আনন্দ করার এবং সুন্দর সুন্দর ভিডিও বানানোর; তিনি হলেন আমার বড় বোন। আমার দ্বিতীয় অনুপ্রেরণা, আমি নিজেও নিজের অনুপ্রেরণা। কারণ আমি দেখেছি যে, নিজের প্রতি যখন ভালোবাসা বা আত্মবিশ্বাস থাকে, মানুষ যদি চায় বা চেষ্টা করে; তখন সে সেটি পূর্ণ করতে পারে। তাই ওইদিক থেকে আমি বলবো, আমার নিজেরও একটা অবদান আছে।

আরও পড়ুন: প্রস্তুতির পাশাপাশি নিয়মিত মডেল টেস্ট দিতে হবে: মুহিব 

জাগো নিউজ: কনটেন্ট ক্রিয়েটিংয়ে কীভাবে এলেন?সৈয়দা জোবায়েদা শিরিন মনি: আমার এক বড় ভাই ছিলেন; যিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত ছিলেন। তিনি আমাকে ইনফ্লুয়েন্স করেছিলেন, আমি দেখতে ভালো এবং আমার ভিডিওগ্রাফি ভালো। এজন্য আমি যদি টিকটক থেকে আমার জার্নিটা শুরু করি। কেননা টিকটকে অনেক বড় একটা অডিয়েন্স আছে। যারা আসলে আমাকে এপ্রোশিয়েট করতে পারেন। তার কথা থেকেই আমার টিকটক অ্যাকাউন্ট খোলা। এরপর টিকটকে এসে দেখলাম সবাই সিমিলার কিছু করছে। যেমন- গান করা বা নাচ করা ইত্যাদি। ওই জায়গা থেকে মনে হয়েছিল, আমি যদি ডিফারেন্ট কিছু করতে পারি, তাহলে ভালো হবে। ডিফারেন্ট কিছু করতে পারলে আমি বড় একটি অডিয়েন্সের রিচ আউট করতে পারবো টিকটকে। এরপর থেকেই ডিফারেন্ট ভিডিও বানাতে থাকলাম। যেমন- একটা ভিডিও বানাতে আমার ১৫টি ক্লিপ নিয়ে প্রত্যেকটা ক্লিপ থেকে পারফেক্ট মোমেন্টগুলো ক্যাপচার হয়। সেগুলো কেটে ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও বানাই। অর্থাৎ ১৫টি ক্লিপ নিয়ে একটি ভিডিও বানাই। সুন্দর সুন্দর মিউজিক চুজ করি। যার কারণে মানুষ আমার ভিডিওটার সাথে গানটাও রিলেট করতে পারে; তখন শুনতে এবং দেখতে আরও সুন্দর লাগে। মিউজিক চয়েজ এবং এডিটের ওপরে আসলে আমার ভিডিওটাতে গুরুত্ব দিই। এরপর নিয়মিত মেধা দিয়ে ভিডিওগুলো বানাতে থাকলাম। তারপর একটা সময় দেখলাম, দেয়ার আর লট অব পিপল; যারা আমাকে খুব বেশি পছন্দ করেন। তারা আমার লাইফস্টাইল পছন্দ করছেন। তারা আমার ঘোরাঘুরি, আমি কী পড়ছি, কী করছি এগুলোও খুব কিউরিসিটি নিয়ে জানতে চান। আমি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে অর্থাৎ সাত মাসের মধ্যেই আই রিচ অলমোস্ট ৭০,০০০ ফলোয়ার্স ইন টিকটক। এভাবেই শুরু এবং এখন পর্যন্ত এভাবেই চলছে।

জাগো নিউজ: কনটেন্ট ক্রিয়েটিং ছাড়া নাটক-সিনেমায় অভিনয় বা মিডিয়ার অন্য সেক্টরে কাজের ইচ্ছা আছে?সৈয়দা জোবায়েদা শিরিন মনি: এখন পর্যন্ত আমি আসলে কন্টেন্ট ছাড়াও অন্য কোনো কাজ করা নিয়ে ভাবিনি। যেমন- নাটক বা মিডিয়া জগতে কোনো কাজ। কারণ আমার মনে হয়, আমি কন্টেন্ট ক্রিয়েশনে ভালো। মনে হয় না, আমি অভিনয় খুব ভালো করতে পারবো। কিন্তু ভবিষ্যতে যদি এমন কোনো সুযোগ হয় বা আমি যদি কোনো ক্যারেক্টারের জন্য কিংবা কোনো স্পেসিফিক কাজের জন্য সুইটেবল হই, তাহলে অবশ্যই করবো।

জাগো নিউজ: যারা কনটেন্ট ক্রিয়েটিংয়ে আসতে চান, তাদের কী পরামর্শ দেবেন?সৈয়দা জোবায়েদা শিরিন মনি: আমি আসলে ব্যাপারটা নিয়ে শিওর না, আমি কতটুকু সুনাম কামাতে পেরেছি। অবশ্যই যারা কনটেন্ট বানাতে চান, তাদের জন্য আমি বলবো, আপনারা কোয়ালিটি মেইনটেইন করবেন। তাহলে দেখা যাবে, আপনি একজন সফল কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হতে পারবেন। আর যদি উল্টাপাল্টা ভিডিও দিয়ে ভিউ কামাতে চান দেখবেন, মানুষ আপনাকে বেশিদিন মনে রাখবে না। আপনি যখন ভালো, শিক্ষণীয়, ইউনিক কোনো কাজ করবেন; তাহলে জিনিসটা মানুষের মনে ধরবে। তারা আপনাকে কাজের জন্য মনে রাখবে। আবার যদি যা-তা একটা কনটেন্ট বানালেন; তখন আপনাকে নিয়ে মানুষ হাসলো, তারা আনন্দ করল; কিন্তু কোনো কিছু শিখলো না, তাহলে তারা আপনাকে আর মনে রাখবে না। অন্যদিকে আবার আপনি ভালো কনটেন্ট বানান, তাহলে দেখবেন মানুষ বলবে ওই কনটেন্ট ক্রিয়েটর কে চিনো? যার ভিডিওর মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। তাই আমি বলবো, ভিডিওতে কোয়ালিটি ও মান বজায় রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: প্রথম বিসিএসেই কৃষি ক্যাডার পেলেন লিখন 

জাগো নিউজ: ইদানিং কনটেন্ট ক্রিয়েটিংয়ে অনেকে যা-তা করছেন, এমন অভিযোগ শুনলে কেমন লাগে?সৈয়দা জোবায়েদা শিরিন মনি: এই অভিযোগের সত্যতা তো অবশ্যই আছে। কারণ এখনকার যুগে ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করতে কোনো চার্জ লাগে না। যে কেউ চাইলে সোশ্যাল মিডিয়াতে যে কোনো পোস্ট করতে পারেন। কিন্তু পরামর্শ হিসেবে এটি বলতে পারি যে, তারা যদি মন্দভাবে কনটেন্ট ক্রিয়েশন না করেন, একটু ভালো দিকগুলোতে ফোকাস করে কনটেন্ট ক্রিয়েশন করেন, তাহলে দেশেরও সুনাম হবে এবং এ ইন্ডাস্ট্রিটাকেও মানুষ আরও ভালোভাবে নেবেন। তখন এটা আরও বড় ইন্ডাস্ট্রি হয়ে উঠবে।

জাগো নিউজ: আপনার কনটেন্ট ক্রিয়েটিং থেকে অন্যরা কী কী বিষয় শিখতে পারেন?সৈয়দা জোবায়েদা শিরিন মনি: আমার কনটেন্ট ক্রিয়েশন থেকে অন্যরা যেসব কিছু শিখতে পারেন, তাহলো—কীভাবে জীবনের ছোট ছোট মুহূর্তকে উপভোগ করা যায়। কীভাবে নিজেকে আরও বেশি ভালোবাসা যায়। জীবনকে কীভাবে উপভোগ করা যায়। কারণ নিজের প্রতি ভালোবাসা থাকলে আপনি জীবনে যা কিছুই করেন না কেন, যেখানেই যান না কেন, যার সাথে আপনার পরিচয় হোক না কেন, আপনার সবকিছুতেই একটা পজিটিভ এনার্জি থাকবে। একটা ভালো লাগা থাকবে। নেগেটিভ জিনিসগুলোকে সাইডে রেখে পজিটিভ জিনিসগুলোকে হাইলাইট করে কীভাবে বাঁচা যায়, তা-ও শিখতে পারবে আমার কনটেন্ট থেকে।

জাগো নিউজ: কনটেন্ট ক্রিয়েট করতে গিয়ে কোনো ঘটনা বা গল্প আপনাকে হাসিয়েছে?সৈয়দা জোবায়েদা শিরিন মনি: কনটেন্ট ক্রিয়েশন থেকে আমার যারা ভক্ত আছেন, তাদের সাথে ঘটা কিছু হাস্যকর ঘটনা আছে। যেমন- একবার আমি আমার ভার্সিটির রেস্ট রুমে ছিলাম। তখন ওখানে সবাই নিজেদের ফ্রেশ করতে ছিলেন। যখন আমি ওয়াশরুমে ঢুকেছি; ঢোকার সাথে সাথে একদম ওয়াশরুমটা সাইলেন্ট হয়ে গিয়েছিল। এভরি ওয়ান ইজ টেকিং বিজি বাট হোয়েন আই এন্টাইরড এভরিওয়ান ওয়াজ কোয়াইট। তারপর আমি আয়নার সামনে কিছু একটা করার চেষ্টা করেছিলাম। তখন একজন হঠাৎ করে বলে উঠলো, ‘আপু, আমি কিন্তু আপনার ভিডিওগুলো দেখি। আই রিয়েলি লাইক ইউর ভিডিওস।’ আবার ওর কথা শুনে পেছন থেকে দুজন সাথে সাথে, ওরা বলার সাহস পাচ্ছিল না। তাই একটু ভয় ফিল করেও সাথে সাথে বলে উঠলো, ‘হ্যাঁ হ্যাঁ, আমিও আপনার ভিডিওগুলো দেখি আপু। অনেক ভালো লাগে।’ তাদের মধ্যে একজন আমাকে জড়িয়ে ধরে বলছিলেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে পারতেছি না আপনাকে এত কাছ থেকে দেখছি।’ এসব ঘটনা কিন্তু অনেক ফানি; আবার আবেগের। আসলেই ঘটনাটি আমার সেম ফ্রেন্ডদের সাথে শেয়ার করেছি। আরেকটি ঘটনা ছিল, আমি হাইওয়েতে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ এক ভদ্রলোক বাইক থামিয়ে বলছেন আমাকে, ‘আপু আমি আপনার সব ভিডিও দেখি।’ আসলে আমি হাইওয়েতে রাস্তার মাঝখানে এমন ভক্ত পাবো; এটা কখনো ভাবিনি। সো ইট ইজ রিয়েলি এনজয়েবল।

এসইউ/জিকেএস