রাজনীতি

জনগণ ভোট দিতে পারলে সেলফির ভরসায় বাঁচতে পারবেন না: গয়েশ্বর

জনগণ যদি ভোট দিতে পারে, তাহলে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সেলফির ওপর ভরসা করে বাঁচতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নাকি যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন না, আরও নানা কথা বলেছেন। তবে কয়েকদিন আগে ভারতে জি-২০ সম্মেলন হলো, সেখানে তিনি কার সঙ্গে সেলফি তুললেন? যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে। এটা আবার পত্রিকায় ফলাও করে প্রচার করা হলো।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাড্ডায় জাসাসের ঢাকা মহানগর উত্তরের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক চিত্রনায়ক আশরাফ উদ্দিন উজ্জ্বল, জাসাসের আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খান, সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ।

আরও পড়ুন>>> আওয়ামী লীগ সেলফি নিয়ে অস্তিত্ব জাহির করতে চায়: গয়েশ্বর 

Advertisement

এরপর গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণের মধ্যে সচেতনাতা বাড়াতে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচারপত্র বিলি করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, সবশেষ ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেলফি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপিকে ঘিরে মন্তব্য করেন। ওই মন্তব্যের বিষয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের মহাসচিব বলেছেন, ওটা গলায় ঝুলিয়ে হাঁটেন। আমি ক্ষমতাসীনদের বলবো, জনগণ যদি ভোট দিতে পারে, সেলফির ওপর ভরসা করে বাঁচতে পারবেন না। তাহলে বুঝতে হবে সরকার কতটা দুর্বল ও দেউলিয়া যে, তারা সেলফি তুলে তা আবার প্রচার করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক কথা নেই। আমরা গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক অধিকার ফেরত চাই। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যে মূল চেতনা, সেই চেতনা আমরা ফেরত চাই।’

আরও পড়ুন: ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করবে বিএনপি 

Advertisement

‘আজকের আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে ছিল বাকশাল। এখন যে অবস্থা, তখনও ছিল। তখন ছিল রক্ষীবাহিনী, এখন তাণ্ডব করে পুলিশ। পুলিশ সদস্যসহ প্রজাতন্ত্রের সব কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বলবো, আপনারা যে যে পেশায় যারা আছেন, তারা যদি পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করেন, তাহলে আপনারা আগামী দিনে নিজ নিজ পেশায় সম্মানের সঙ্গে থাকবেন। এখানে কারও চাকরি হারানোর ভয় নেই। আপনারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, ‘দেশের মালিকানা যদি জনগণের কাছে ফেরত দিতে না পারি, গর্বিত জাতি হিসেবে বলত পারবো না আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। দখলদার এই ফ্যাসিবাদকে আমাদের তাড়াতে হবে। যারা তাড়াতে পারবে তারাই দেশপ্রেমিক। এটা করতে পারলে দেশে গণতন্ত্র ফিরবে, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’

কেএইচ/কেএসআর/জিকেএস