আন্তর্জাতিক

গোপনে ইরানকে বড় ছাড় দেওয়ার প্রক্রিয়া সারলো যুক্তরাষ্ট্র

অনেকটা চুপিসারেই ইরানের বাজেয়াপ্ত ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদ ফেরত, সঙ্গে পাঁচ ইরানি বন্দির মুক্তির প্রক্রিয়া সারলো বাইডেন প্রশাসন। ইরানের ওপর ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নথিতে গত সপ্তাহে সই করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। কিন্তু গত সোমবারের (১১ সেপ্টেম্বর) আগপর্যন্ত বিষয়টি মার্কিন কংগ্রেসকেও জানানো হয়নি। খবর এপির।

Advertisement

এ ঘটনার প্রায় এক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের কর্মকর্তারা নীতিগতভাবে একটি চুক্তি হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই চুক্তির রূপরেখাও প্রকাশ করা হয়েছিল এবং সেই অনুসারে ইরানকে অর্থ ফেরত দেওয়ার বিষয়টি প্রত্যাশিতই ছিল।

কিন্তু চুক্তির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে বন্দি থাকা পাঁচ ইরানিকে যে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে, এটি বিজ্ঞপ্তি থেকেই প্রথমবার জানা গেলো। অবশ্য মুক্তির অপেক্ষায় থাকা বন্দিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

মূলত ইরানে বন্দি পাঁচ মার্কিন নাগরিকের মুক্তির রাস্তা পরিষ্কার করতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

Advertisement

ইরানের কারাগারে বন্দি পাঁচ মার্কিনির মধ্যে রয়েছেন সিয়ামক নামাজি, যাকে ২০১৫ সালে আটক করা হয়েছিল এবং পরে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল; ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট এমাদ শার্ঘি, যাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল; ইরানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ-আমেরিকান সংরক্ষণবাদী মোরাদ তাহবাজ, যিনি ২০১৮ সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং ১০ বছরের সাজা পেয়েছিলেন। চতুর্থ ও পঞ্চম বন্দির পরিচয় জানা যায়নি।

ব্লিঙ্কেন লিখেছেন, তাদের মুক্তির সুবিধার্থে সরকার বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দি পাঁচজন ইরানি নাগরিককে মুক্তি দিতে এবং [দক্ষিণ কোরিয়ায়] বাজেয়াপ্ত প্রায় ৬০০ কোটি ডলার সমমূল্যের ইরানি অর্থ কাতারের অ্যাকাউন্টগুলোতে স্থানান্তরের অনুমতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেখানে এই অর্থ কেবল মানবিক বাণিজ্যের কাজে ব্যবহৃত হবে।

তবে ইরানকে এত বড় ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্তে রিপাবলিকানদের কাছ থেকে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে বাইডেন প্রশাসন। তাদের দাবি, মধ্যপ্রাচ্যে যখন মার্কিন সৈন্য এবং মিত্রদের জন্য ইরান যখন ক্রমাগত বড় হুমকি হয়ে উঠছে, তখন এই চুক্তি ইরানি অর্থনীতিকে আরও হৃষ্টপুষ্ট করবে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) আইওয়ার সিনেটর চাক গ্রাসলি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে ৬০০ কোটি ডলার মুক্তিপণ দিচ্ছে, এটি হাস্যকর।

Advertisement

ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এসব বন্দিকে আগামী সপ্তাহেই মুক্তি দেওয়া হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

কেএএ/