ধর্ম

সুরা কুরাইশ: ৪টি শিক্ষা ও নির্দেশনা

সুরা কুরাইশ কোরআনের ১০৬তম সূরা। সুরাটি মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা ৪টি, রুকু ১টি। এ সুরায় আল্লাহ কুরাইশ বংশের ওপর তার নেয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাদেরকে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় ও ইবাদত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

সুরাটি শুরু হয়েছে কুরাইশের শীত ও গৃস্মের সফরের কথা উল্লেখ করে। শীত ও গৃস্মের বাণিজ্যিক সফর ছিলো কুরাইশের জীবন ধারণ ও সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যম। প্রতি বছর শীতকালে গরম এলাকা ইয়েমেন ও গ্রীষ্মকালে ঠান্ডা এলাকা শামে যেতো কুরাইশের বাণিজ্যিক কাফেলা। নিজেদের পণ্য বিক্রি করে সেখান থেকে পণ্য নিয়ে আসতো তারা। আল্লাহর ঘর কাবার খাদেম হওয়ায় আরবের অন্যান্য গোত্রগুলো তাদের ওপর আক্রমণ করতো না, তাদের যাত্রাপথে কোনো রকম বাঁধা-বিপত্তি সৃষ্টি করতো না। এটা ছিলো আল্লাহর ঘরের কারণে কুরাইশের লাভ করা সম্মান ও আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত।

সুরা কুরাইশ(১) যেহেতু কুরাইশ অভ্যস্ত; (২) অভ্যস্ত শীত ও গ্রীষ্মের সফরে (৩) তারা যেন এ ঘরের রবের ইবাদত করে, (৪) যিনি ক্ষুধায় তাদেরকে আহার দিয়েছেন আর ভয় থেকে নিরাপদ করেছেন।

১. আল্লাহ কুরাইশ বংশকে বিশেষভাবে সম্মানিত করেছেন। তাদেরকে তার ঘরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিয়েছেন, তাদের বংশের এক ব্যক্তিকে শেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল বানিয়েছেন।

Advertisement

২. আল্লাহ নেয়ামত দান করলে তার প্রশংসা, গুণকীর্তন ও ইবাদতের মাধ্যমে নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করা আমাদের কর্তব্য। নেয়ামতের শোকর আদায় না করলে আল্লাহ ওই নেয়ামত ছিনিয়ে নিতে পারেন এবং নেয়ামতের জায়গায় আল্লাহর শাস্তি চলে আসতে পারে।

৩. আল্লাহ ছাড়া সবার ইবাদত ত্যাগ করা এবং এক আল্লাহর ইবাদত করা ওয়াজিব। এই সুরায় কুরাইশ বংশসহ সব মানুষকে আল্লাহর ইবাদতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৪. ক্ষুধায় আহারের সংস্থান ও নিরাপত্তা আল্লাহর বড় নেয়ামত। এ নেয়ামতের জন্য বেশি বেশি আল্লাহর শোকর আদায় করা উচিত।

ওএফএফ/জিকেএস

Advertisement