রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ায় পৌঁছেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। এরই মধ্যে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন পুতিন। দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহ্যাপ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে রুশ নিউজ এজেন্সি ইন্টারফেক্স জানায়, যেকেনো সময় রাশিয়ায় সফরে আসছেন কিম।
Advertisement
এর আগে উত্তর কোরিয়ার বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) নিশ্চিত করে, একটি সামরিক ট্রেনে করে রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন কিম জং উন। তার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ান সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে রাশিয়ার পথে কিম জং উন
গত চার বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এটিই কিম জং উনের প্রথম আন্তর্জাতিক সফর। করোনা মহামারির কারণে এতদিন তিনি দেশের বাইরে যাননি।
Advertisement
চার বছর আগে ২০১৯ সালে ট্রেনে রাশিয়া ভ্রমণ করেছিলেন কিম। তাকে বহনকারী সেই ট্রেনটি ছিল বুলেটপ্রুফ। অনেক ভারী হওয়ায় ঘণ্টায় ৫৯ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চলতে পারেনি। ভ্লাদিভোস্টকে পৌঁছাতে তার সময় লেগেছিল ২০ ঘণ্টা।
এদিকে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে অস্ত্রচুক্তি নিয়ে সমঝোতা হতে পারে। তবে মস্কোকে কোনো অস্ত্র না দিতে পিয়ংইয়ংকে আগে থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে বাইডেন প্রশাসন।
আরও পড়ুন: রাশিয়াকে অস্ত্র দিলে মূল্য দিতে হবে, হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের
গত মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর), হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, উত্তর কোরিয়া যদি রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র চুক্তি করে থাকে, তাহলে কিম জং উনকে চরম মূল্য দিতে হবে।
Advertisement
এর আগে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগুও জুলাই মাসে পিয়ংইয়ং থেকে অস্ত্র কেনার বিষয়ে আলোচনা করতে উত্তর কোরিয়া গিয়েছিলেন।
জানা গেছে, কিমের এ সফরে অন্তত ২০টি বুলেটপ্রুফ গাড়ি থাকবে। ফলে তাকে বহনকারী ট্রেনটি ঘণ্টায় ৫৯ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি গতিতে ছুটতে পারবে না। ভ্লাদিভোস্তকে পৌঁছাতে পুরো দিন লেগে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: উ. কোরিয়া-চীনের সঙ্গে ত্রিমুখী নৌ মহড়ার প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি এর আগে বলেছিলেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু সাম্প্রতিক উত্তর কোরিয়া সফরের সময় পিয়ংইয়ংকে রাশিয়ার কাছে আর্টিলারি গোলাবারুদ বিক্রি করতে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিলেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন এক সময়ে কিম-পুতিনের মধ্যে বৈঠক হতে যাচ্ছে, যখন রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া উভয়ের কাছেই এমন কিছু রয়েছে, যা অন্য দেশ চায়। রাশিয়া সম্ভবত উত্তর কোরিয়ার কাছে খাদ্য ও কাঁচামালের বিনিময়ে আর্টিলারি শেল ও রকেট আর্টিলারিসহ যুদ্ধাস্ত্র চাইবে। তাছাড়া জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক ফোরামে পিয়ংইয়ংয়ের অব্যাহত সমর্থন চাইবে।
সূত্র: আল জাজিরা, সিএনএন
এসএএইচ