বাংলাদেশে গণহারে পাইরেসি হয় বলে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, দেশের প্রতিটি ফটোকপির দোকানে দেখা যায় কারও না কারও বই অনুমতি ছাড়া কপি হচ্ছে। যদিও এর সুবিধা আছে ছাত্ররা কম টাকায় বই পায়, তবে আন্তর্জাতিক দায় রয়ে গেছে। একটা সময় বাংলাদেশকে এ প্রশ্নের সম্মুখীন হতেই হবে যে এ পাইরেসির বিষয়ে সরকার কী করেছে।
Advertisement
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে কপিরাইট বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে শামীম হায়দার এসব কথা বলেন।
এ বিল পাসের সময় শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘বাংলাদেশে মৌলবাদের অর্থনীতি শক্তিশালী। কিন্তু উদারতন্ত্রের অর্থনীতি এখানে দেখছি না। ১৫ বছর এ সরকার ক্ষমতায় আছে কিন্তু সংস্কৃতিক বিপ্লব দেখলাম না। ঢাকা শহরের একটা অংশ কালচারাল হেরিটেজ হওয়ার কথা ছিল, কালচারাল ক্যাপিটাল হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। উপজেলা পর্যায়ে সংস্কৃতির জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। কালচারাল বিপ্লবের জন্য বরাদ্দ নেই। এর দায়ভার একসময় বাংলাদেশকে, এ সরকারকে নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: শিগগির মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে, আশা অর্থমন্ত্রীর
Advertisement
সিনেমা হারিয়ে যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক মানের সিনেমা আসছে না এমন মন্তব্য করে শামীম হায়দার বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম রক্ষাকর্তা হিসেবে আভির্ভূত হয়েছে। সেখানে মানসম্পন্ন সিনেমা, ওয়েবসিরিজ, নাটক হচ্ছে। কিছু সমালোচনা আছে, অশ্লীলতা আছে, নিয়ন্ত্রণের কিছু প্রয়োজন আছে। কিন্তু সাবলীলভাবে তারা একের পর এক সিরিজ করে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় ও আইসিটি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে বিভিন্ন সংস্থা করছে। এগুলো করার মাধ্যমে সৃজনশীলতা লোপ পেতে পারে। সিনেমা বানানোর সময় যদি মাথায় থাকে সেন্সর বোর্ড এ জিনিসগুলো করবে, তখন সৃজনশীলতা থাকে না।’
তিনি বলেন, আমরা এমনভাবে করছি যাতে মানুষের চিন্তার খোরাক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত ২০ বছরে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সিনেমা কি হয়েছে, যা পুরো পৃথিবীকে নাড়া দিয়েছে?
আইএইচআর/এমআইএইচএস/জেআইএম
Advertisement