চার শতকেরও বেশি সময় পরে পৃথিবীর খুব কাছাকাছি এসেছে অতি উজ্বল এক ধূমকেতু। মার্কিন বার্তা সংস্থা সিএনএন জানিয়েছে, ‘নিশিমুরা’ নামের এ ধূমকেতু ৪৩৭ বছরে একবার পৃথিবীর কাছাকাছি আসে। আর মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এটিকে খালি চোখেই পৃথিবীর আকাশে দেখা যাবে।
Advertisement
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চলতি বছরের ১১ আগস্ট প্রথমবারের মতো এ ধূমকেতুর সন্ধান পান জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। নিশিমুরার মতো উজ্জ্বল ধূমকেতুকে বৃহৎ ধূমকেতু বলা হয়। সিএনএন জানায়, নিশিমুরা ধূমকেতু ৪৩৭ বছরে একবার পৃথিবীর কাছাকাছি আসে। এটি যখনই পৃথিবীর কাছে আসে, তখন এটিকে খালি চোখে দেখা যায়। এর জন্য প্রয়োজন কোনো টেলিস্কোপের দরকার পড়ে না।
জানা গেছে, জাপানের অপেশাদার জ্যোতির্বিজ্ঞানী হিডিও নিশিমুরার নামে ধূমকেতুটির নামকরণ করা হয়। গত ১২ আগস্ট একটি স্ট্যান্ডার্ড ডিজিটাল ক্যামেরা ও একটি ২০০ মিমি টেলিফটো লেন্স ব্যবহার করে তিনি ধূমকেতুটি আবিষ্কার করেন।
জ্যোতির্বিদরা বলছেন, বর্তমানে দূরবীনের সাহায্যে দেখা ধূমকেতুটি যাচ্ছে। যদিও পৃথিবী থেকে এটি এখনও অনেক দূরে আছে। তবে যখন কাছে আসবে, তখন এটিকে দেখতে কোনো টেলিস্কোপের প্রয়োজন হবে না।
Advertisement
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, নিশিমুরা ধূমকেতু শিগগির সূর্যকে প্রদক্ষিণ করবে। মূলত এ সময়ের মধ্যেই এটি পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে ও পরে দূর মহাকাশে চলে যাবে।
এ ধূমকেতুর বৈজ্ঞানিক নাম সি/২০২৩-পি১, যা আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর সূর্যের সবচেয়ে কাছে আসবে। এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর এটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসবে। তবে ১২ সেপ্টেম্বর থেকেই এ ধূমকেতুকে আকাশে দেখা যাবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, নিশিমুরা ধূমকেতুর কক্ষপথের সময়কাল ৪৩৭ বছর। মঙ্গলবারের পর এ ধূমকেতুটি আবার ৪৩৭ বছর পর পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে। যা দেখা যাবে সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত। রাত যত গভীর ও অন্ধকার হবে, নিশিমুরা ধূমকেতু দেখার সম্ভাবনা তত বেড়ে যাবে।
গত বছরের ২ মার্চ সবুজ রঙের বিরল একটি ধুমকেতুর আবিষ্কার করেছিলেন আমেরিকার জিকি ট্রানসিয়েন্ট ফেসিলিটির (জেডটিএফ) জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ধূমকেতুটির নাম দেওয়া হয়, সি২/২০২২ ই৩।
Advertisement
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলে, সবুজ এ ধুমকেতু সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে ও সূর্যকে একবার পূর্ণ প্রদক্ষিণ করতে এর সময় লাগে ৫০ হাজার বছর। ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি এই ধূমকেতু সূর্যের সব থেকে কাছাকাছি আসে ও ২ ফেব্রুয়ারি এটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসে। এই ধুমকেতু শেষবার যখন পৃথিবীর এত কাছে এসেছিল, তখন পৃথিবীতে নিয়ানডার্থাল মানুষ বসবাস করতো।
সূত্র: সিএনএন, গার্ডিয়ান
এসএএইচ