দেশজুড়ে

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু, হাসপাতাল থেকে মরদেহ গায়েব

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্মাণাধীন জেলা মডেল মসজিদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মুজাহিদ (১৭) নামের এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে পৌরসভার সামনে মসজিদ প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।

Advertisement

হাসপাতালে নিয়ে আসা তার সহকর্মীরা জানান, সরকারিভাবে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মডেল মসজিদও নির্মাণের প্রায় শেষ দিকে। সেখানে দ্রুততার সঙ্গেই কাজ চলছে। সোমবার সকালে মসজিদে কাজ করার সময় পাইপ দিয়ে পানি দিচ্ছিল মুজাহিদ। এসময় নিচে পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে আহত হন তিনি। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মুজাহিদকে মৃত ঘোষণা করার পর কাউকে কিছু না বলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই হাসপাতাল থেকে মরদেহ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: বরগুনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গৃহবধূর মৃত্যু

Advertisement

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের স্টাফরা জানান, অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে, নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করার পর জরুরি বিভাগ থেকে পুলিশকে জানিয়ে মরদেহ মর্গে পাঠানো হয় এবং মৃত্যু সনদ প্রদান করা হয়। কিন্তু বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়া শ্রমিকের মরদেহটি গোপনে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গের ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম সুমন বলেন, জরুরি বিভাগ থেকে ফোন দেওয়া হয় একটি মরদেহ মর্গে নিয়ে যেতে। মাত্র ৫ মিনিটের ভেতরে মর্গ থেকে ট্রলি নিয়ে এসে দেখে জরুরি বিভাগে মরদেহ নেই। বিষয়টি আমি হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এস.আই) আতিকুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নির্মাণ শ্রমিক মারা যাওয়ার খবর পেয়ে এসেছি। হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছে কাউকে কিছু না বলে মরদেহটি নিয়ে গেছে। মরদেহটি কোথায় আছে আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/জেএস/জিকেএস

Advertisement