দেশজুড়ে

গাজীপুর সিটি মেয়র জায়েদা খাতুন দায়িত্ব নিচ্ছেন আজ

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নারী মেয়র হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করছেন জায়েদা খাতুন। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) নব নির্বাচিত মেয়রের অভিষেক উপলক্ষে নগরভবন এলাকা বর্ণাঢ্য সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। সকালে নগরভবনের দক্ষিণে রথখোলা এলাকায় বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে তাকে স্বাগত জানানো হবে।

Advertisement

অপর দিকে রোববার ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে আসাদুর রহমান কিরণের শেষ কর্ম দিবস ছিল। এ দিন মাসিক সভা থাকলেও কোরাম সংকটের কারণে সভাটি হয়নি। বিদায় বেলায় তিনি নগরভবনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম সফিউল আজমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ব্যাপক আলোচিত জায়েদা খাতুন মেয়র হিসেবে অভিষেকের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশনায় বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থক ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। নগরীর ৫৭টি ওয়ার্ড থেকে জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থক কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ এ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

আরও পড়ুন: ‘স্বশিক্ষিত’ জায়েদা দেশের দ্বিতীয় নারী সিটি মেয়র

Advertisement

গত ২৫ মে গাজীপুর সিটির নির্বাচনে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন আওয়ামী লীগ মনোনীত মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি নৌকা প্রতীকের আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন।

এর আগে ২০১৮ সালের ২৭ জুন গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন।

২০২১ সালে জাহাঙ্গীর আলমের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যাতে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছু বিতর্কিত মন্তব্য ছিল। এ ঘটনায় ওই বছর ১৯ নভেম্বর তাকে আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার এবং ২৫ নভেম্বর মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে ২০২৩ সালের ২১ জানুয়ারি এক বছর দুই মাস পর তাকে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার চিঠি দেওয়া হয়। এর পর তিনি ২০২৩ গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন। পরে ঋণ খেলাপির কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেলে তার মা জায়েদা খাতুনকে নিয়ে নির্বাচনে নামেন।

এক পর্যায়ে গত ১৫ মে আওয়ামী লীগ জাহাঙ্গীর আলমকে ফের দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেন। কিন্তু তার মা জায়েদা খাতুনকে নিয়ে নির্বাচনী মাঠে থেকে যান। নানা বাধাবিপত্তি ও হামলার পরও মাকে নিয়ে টিকে থাকেন নির্বাচনী মাঠে। নির্বাচনে প্রকাশ্যে ছিল না তার কোনো কর্মী-সমর্থক। করতে দেওয়া হয়নি মিছিল সমাবেশ। ভোট কেন্দ্রে ছিল না তার মায়ের প্রতীকের কোনো এজেন্ট ও সমর্থক। তার পরও জাহাঙ্গীর আলমের জনপ্রিয়তায় তার মা জায়েদা খাতুনকে নগরবাসী ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করে।

Advertisement

মো. আমিনুল ইসলাম/আরএইচ/এএসএম