সুন্দর পাখি দেখলে তাকে ছুঁতে মন চায় না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে চাইলেই সব পাখি ছোঁয়া যায় না। ছোঁয়ার আগেই সে ফুড়ুৎ করে উড়ে যায়। বন্দি পাখির থেকে মুক্ত পাখি যেন একটু বেশি সুন্দর। পৃথিবীজুড়ে দশ হাজারের বেশি প্রজাতির পাখির সন্ধান মিলেছে। পৃথিবীতে এমন কিছু পাখি আছে যা দৈহিক আকৃতি, রং এবং প্রতিভার জন্য বিশ্বের সুন্দরতম পাখির তালিকায় স্থান পেয়েছে। চলুন জেনে নিই এমন ৫টি পাখি সম্পর্কে—
Advertisement
আটলান্টিক পাফিনআটলান্টিক পাফিন সুন্দর পাখিদের একটি। পাফিন সাধারণত তিন প্রজাতির। টাফটেড পাফিন, হর্নড পাফিন এবং আটলান্টিক পাফিন। আটলান্টিক পাফিনও বাকি দুই প্রজাতির মতো সুন্দর। আটলান্টিক পাফিন ছোট সামুদ্রিক পাখি। যা যুক্তরাষ্ট্র এবং পূর্ব কানাডার উপকূলে দেখা মেলে। সুন্দর পাখিগুলো দেখতে বহু রঙের এবং রঙিন পেঙ্গুইনের মতো। বেশিরভাগ সময় এরা সাগরেই কাটায় বলে এদের সমুদ্রের তোতাও বলা হয়। আটলান্টিক পাফিন গ্রীষ্মকালে আটলান্টিক মহাসাগরের দ্বীপগুলোতে প্রজনন ঘটায়।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির পানি পান করে যে পাখি
হায়াসিন্থ ম্যাকাওবিশ্বের সব উড়ন্ত তোতা পাখিদের মধ্যে বৃহত্তম হায়াসিন্থ ম্যাকাও। উত্তর ব্রাজিলে এদের দেখতে পাওয়া যায়। চোখের চারদিকে হলুদ রং, নীল পালক এবং দীর্ঘ লেজের জন্য এই পাখির সৌন্দর্য সবার থেকে আলাদা। ঝুঁটি থেকে পা পর্যন্ত এই পাখির দৈর্ঘ প্রায় ১ মিটার। বিশ্বে এ পাখির সংখ্যা খুবই সীমিত। সাধারণত তৃণভূমিতেই এদের বেশি দেখা যায়।
Advertisement
গোল্ডিয়ান ফিঞ্চগোল্ডিয়ান ফিঞ্চ চড়ুই জাতীয় পাখি। অস্ট্রেলিয়ায় এদের বেশি দেখা যায়। গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ আকারে খুব ছোট। এদের দৈর্ঘ প্রায় ১২০-১৪০ মিলিমিটার। গোল্ডিয়ান ফিঞ্চের মাথার রং লাল, কালো এবং হলুদ। পালকের রং সবুজ, নীল এবং হলুদ। ঝাঁকবেঁধে থাকতে এরা বেশি ভালোবাসে।
আরও পড়ুন: জাতীয় পাখি দোয়েল কি বিলুপ্তির পথে?
ময়ূরদেশি ময়ূর মূলত ময়ূর পরিবারের ছেলে পাখি। বিশ্বের তিন ধরনের ময়ূর আছে। দেশি, কঙ্গো এবং সবুজ ময়ূর। দেশি ময়ূর হচ্ছে বিশ্বের সর্বত্র পাওয়া সাধারণ ময়ূর। ছেলে ময়ূর তাদের উজ্জ্বল পালকের রঙের প্রদর্শনীর জন্য বিখ্যাত। ময়ূর আকারে ৫ ফুট পর্যন্ত বাড়তে পারে। যা বিশ্বের বৃহত্তম উড়ন্ত পাখিগুলোর একটি। প্রকৃতপক্ষে একটি ময়ূরের দৈর্ঘ তার মোট দৈর্ঘের ষাট শতাংশ।
উইলসন বার্ড অব প্যারাডাইসঅদ্ভুত সুন্দর রঙিন পাখির মধ্যে উইলসন বার্ড অব প্যারাডাইস অন্যতম। ইন্দোনেশিয়ার গভীর অরণ্যে এই পাখি দেখতে পাওয়াও ভাগ্যের বিষয়। কিন্তু একবার যদি কেউ এই পাখি দেখে থাকেন তাহলে এই পাখির প্রাণবন্ত রং আর কার্যকলাপ আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
Advertisement
এসইউ/জিকেএস