আন্তর্জাতিক

‘ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আমাকে বাঁচায় প্রতিবেশীরা’

মরক্কোর মারাকেশে যখন ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে তখন নিজ বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন সাইদা বোদচিচ। ভূমিকম্প টের পেলেও ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার যথেষ্ট সময় পাননি তিনি। তাই আটকা পড়েন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে। এরপর প্রতিবেশীরা এসে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তাকে বের করেন। ফলে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি।

Advertisement

সাইদা বোদচিচ বলেন, প্রতিবেশীর খালি হাতে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আমাকে বাঁচিয়েছেন। এখন আমি তাদের সঙ্গেই থাকছি। কারণ আমার মন সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন>মরক্কোয় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়ালো

মারাকেশের অন্য এক বাসিন্দা খাদিজা সাতু বলেন, কি ঘটছে তা আমি বোঝার চেষ্টা করছিলাম। যখন সবকিছু কাঁপতে শুরু করলো তখন আমি ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।

Advertisement

তিনি বলেন, প্রথমে আমি ভাবছিলাম আশপাশে কোথা আগুন লেগেছে। তবে ঝাঁকুনি খুবই অস্বাভাবিক লাগছিল। চারপাশে চিৎকারের শব্দ শুনে মনে হলো ভূমিকম্প হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোন ও জুতো ছাড়াই বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েন।

এদিকে মারাকেশ থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক জোনাহ হাল জানিয়েছেন, পুরোনো শহরের এক কেন্দ্রীয় স্কয়ারে প্রচুর মানুষ দেখা গেছে। শনিবার এখানেই তাদের রাত কেটেছে। রোববার সকালে তিনি জানিয়েছে, কিছু ভবন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকার কারণে পুলিশ বাসিন্দাদের ঘরে ফিরতে নিষেধ করেছে।

হাল জানিয়েছেন, অনেকেই আতঙ্কিত হচ্ছেন আফটারশকের কারণে। বাইরে থাকতেই স্বস্তিবোধ করছেন তারা।

আরও পড়ুন>মরক্কোয় ভূমিকম্প, ঘরে ফিরতে ভয় পাচ্ছে বাসিন্দারা

Advertisement

ভূমিকম্পটিতে নিহতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, এ দুর্যোগে নিহত দুই হাজার ১২ জনে পৌঁছেছে। তাছাড়া এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১১টার কিছু পর আঘাত হানা ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৮। এতে নিহত অধিকাংশ লোকজন দুর্গম পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দা, যেখানে পৌঁছানো খুব কঠিন।

সূত্র: আল-জাজিরা

এমএসএম