এ পর্যন্ত চার হাজার ৩৫৭ জন প্রবাসী ভোটারের বায়োমেট্রিক গ্রহণ করা হয়েছে এবং তদন্ত পরবর্তী এক হাজার ৫৫৯ জন যোগ্য ভোটারের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজ প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন সংসদ কার্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
Advertisement
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল পৌনে ৫টায় অধিবেশন শুরু হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবাসেই ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত ৩১ মে থেকে আবুধাবি দূতাবাসে ও ১২ জুন থেকে দুবাই কনস্যুলেটে পরীক্ষামূলকভাবে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করে। ভোটারদের নিবন্ধন কেন্দ্রে বায়োমেট্রিক গ্রহণ, ডকুমেন্ট সংযুক্তকরণ, পরে বাংলাদেশের স্থানীয় ঠিকানায় ভোটারদের প্রদত্ত তথ্যাদি রেজিস্ট্রেশন অফিসার (সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার) কর্তৃক সরেজমিনে তদন্ত করার পর যোগ্য ভোটারদের এফআইএস (অটোমেটেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম) ম্যাচিং সম্পন্ন করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৩৩৬ জন প্রবাসীর জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>> প্রবাসে বাংলাদেশি সব রাজনৈতিক সংগঠন নিষিদ্ধের দাবি
Advertisement
আনিসুল হক বলেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তক্রমে ১৫টি দেশের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরুর প্রস্তাব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব ও ইতালির বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পাওয়া গেছে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে সৌদি আরব এবং ৯ অক্টোবর থেকে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ ও সমন্বয় করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তক্রমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মতি প্রদানকৃত তিনটি দেশ কুয়েত, কাতার ও মালয়েশিয়ার ভোটার নিবন্ধন শুরুর প্রস্তাব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে দেশগুলোর সম্মতি এখনো পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
আইএইচআর/ইএ/এমএস
Advertisement