জাতীয়

ছবি অনেক কথা বলে, সেলফি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাইডেনের কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি কিছু আলোচনাও হয়েছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ছবি তো অনেক কথা বলে’।

Advertisement

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।

সেলফি রাজনীতিতে কী বার্তা দিচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাইডলাইনে বাইডেনের সঙ্গে কুশল বিনিময় হয়েছে, কিছুটা আলোচনাও হয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় এবং ছবি তো অনেক কথা বলে। ছবি নিয়ে তো অনেক গবেষণাও হয়। আপনারা ছবি তোলেন সেই ছবি নিয়ে অনেক গবেষণা হয়, ছবি অনেক কথা বলে। গতকালের ছবির ভাষা সাংবাদিক হিসেবে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। আগামী দিনে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হবে।

গতকাল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের মাধ্যমে এটিই স্পষ্ট হয়েছে, তাদের এক দফার আন্দোলন যে অসম্ভব, এটা কঠিন কাজ, তিনি তার বক্তব্যের মাধ্যমে স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন একদফার আন্দোলন কঠিন সময়ে আসছে। একদফার আন্দোলনের মধ্যে তো তারা বহু আগে থেকেই আছেন। একবার গরুর হাটে মারা গেছে, তারপর কদিন আগে আগস্ট মাসের আগে জোর একদফার আন্দোলন শুরু করেছিলেন, সেটিও হালে পানি পায়নি। এখন তাদের হার্ট তো ভেঙে গেছে দেখা যাচ্ছে। তার বক্তব্যের মাধ্যমে এটি স্পষ্ট তাদের এক দফার আন্দোলন যে এটি আদায় করা সম্ভব নয়, এটি তার বক্তব্যের মাধ্যমেই স্পষ্ট। তিনি কর্মীদের চাঙা রাখার জন্য এসব কথাবার্তা বলছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: নয়াদিল্লি থেকে ঢাকার পথে প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জি-২০ এর সদস্য নয়। জি-২০ এর সদস্য না হলেও জি-২০ এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভারত শুধুমাত্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, উপমহাদেশের আর কোনো রাষ্ট্রনায়ককে ডাকা হয়নি। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সফল ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে, সেটির বিস্তারিত তারা ফিরে আসলে জানতে পারবেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কুশল বিনিময় হয়েছে, শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে। আপনারা দেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিজেই প্রধানমন্ত্রী এবং তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে সেলফি তুলেছেন, সেখানে কুশল বিনিময়সহ ছোটখাট আলোচনাও হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে আরব আমিরাত এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। অন্যান্য রাষ্ট্র নায়কদের সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হয়েছে, সাইডলাইনে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত সফল সফর হয়েছে।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য প্রশংসা করলেও দিল্লি ঘোষণায় নাখোশ ইউক্রেন

Advertisement

আজ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আসবেন উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, কদিন আগে রুশ পরররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। এতেই প্রমাণিত হয় আমাদের সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্ব নেতাদের যে সুস্পর্ক, সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক সেটি এগুলোতেই প্রমাণিত হয়।

তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দুদিন ধরে নিরাপত্তা সংলাপ হয়েছে। এই ঘটনাপ্রবাহ যারা অনুধাবন করতে পারেন তারা সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারেন যে বর্তমান সরকারের সঙ্গে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কি সুসম্পর্ক রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের যে বহুমাত্রিক সম্পর্ক রয়েছে সেটি আরও ঘনিষ্ঠ করার জন্য দুদেশ কাজ করছে।

আইএইচআর/এমআরএম/জেআইএম