জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বিশেষ আমন্ত্রিত হিসেবে দিল্লিতে এসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাগতিক দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাসভবনে দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা ধরে চলেছে ওই বৈঠক।
Advertisement
বৈঠকের ঠিক পর পরই প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজের এক্স (পূর্বে টুইটার) অ্যাকাউন্টে বাংলায় লেখেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক। আমাদের আলোচনায় কানেক্টিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি ও আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আরও পড়ুন:
বৈঠকের পর ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি পদস্থ সূত্র জানিয়েছে, দুই নেতার মধ্যে অত্যন্ত আন্তরিক, খোলামেলা ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। ওই বৈঠকে আরও একবার ভারত-বাংলাদেশের মধ্যেকার পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাস ও মৈত্রীরই প্রতিফলন ঘটেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
Advertisement
এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সকালে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে রওনা হন তিনি। নয়াদিল্লিতে ৯-১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে এই সফর।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর এ সফর নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকে কানেকটিভিটি, তিস্তার পানি বণ্টন, জ্বালানি নিরাপত্তা ও খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে। বৈঠকে কৃষি গবেষণা খাতে সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও দুই দেশের নাগরিকদের লেনদেন সহজীকরণে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।
আরও পড়ুন: নজর এখন মোদী-বাইডেন বৈঠকে
আরও পড়ুন: নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হচ্ছে দিল্লিকে
Advertisement
এবারের জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ৯টি দেশকে অতিথি রাষ্ট্র হিসেবে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটি। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশগুলো হচ্ছে—মিসর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিংগাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ভারতের সঙ্গে বিদ্যমান নানা সম্পর্কের ভিত্তিতে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র রাষ্ট্র হিসেবে এ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশ।
সূত্র: বিবিসি
এসএএইচ