রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ দেবতাছড়ি পাড়া। সকালে মাচাং ঘরে বসে স্থানীয় মধ্য বয়সী মেঘমালা তনচংগ্যাসহ ৮-১০ জন নারী-পুরুষ বিলেতি ধনে পাতা আঁটি বাঁধছেন। সাপ্তাহিক কাপ্তাই বড়ইছড়ি বাজার এবং কাউখালি ওয়াগ্গা বাজারের জন্য এ পাতা বাঁধছেন। পাশাপাশি পাইকাররা এখান থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
Advertisement
এ সময় কথা হয় মেঘমালা তনচংগ্যা ও মনিমালা তনচংগ্যার সঙ্গে। তারা জানান, ১০ বছর ধরে তারা ক্ষেত থেকে ধনে পাতা তুলে দলবেঁধে মাচাং ঘরে আঁটি বেঁধে বিক্রি করেন। প্রতিটি আঁটির মূল্য খুচরা বাজারে ১০০ টাকা। অনেক সময় ব্যবসায়ীরা ঘরে এসে পাইকারি দামে নিয়ে যান। এ কাজে তাদের সংসার বেশ ভালো চলছে। প্রত্যেকে নিজ কৃষি জমিতে এ ধনে পাতা চাষ করছেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: রাস্তার পাশে ৪০০ পেঁপে গাছ লাগিয়ে আলতাফের বাজিমাৎ
মাচাং ঘরের অদূরে বাস করেন ৫ নং ওয়াগ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চিরনজীত তনচংগ্যা। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মাঘ-ফাল্গুন মাসে আমাদের পাড়ার কৃষকেরা বিলেতি ধনে পাতার বীজ জমিতে রোপণ করেন। বৈশাখ মাস থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত জমি থেকে ধনে পাতা তুলে বিক্রি করেন।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘ওয়াগ্গা ইউনিয়নের দেবতাছড়ি, মুরালি পাড়া, সাফছড়িসহ অনেক পাড়ায় একরের পর একর জায়গাজুড়ে বাণিজ্যিকভাবেই চাষ হয় এ বিলেতি ধনে পাতা।’
আরও পড়ুন: কাজী পেয়ারার চারা কখন রোপণ করবেন?
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান আহমেদ বলেন, ‘কাপ্তাই উপজেলার একটি বিশেষ ফসল বিলেতি ধনিয়া। এর চাষাবাদ দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। সারাদেশে বিলেতি ধনিয়ার চাহিদা বাড়ছে। এটি চাষাবাদ করে কৃষক লাভবান হচ্ছেন। ভর্তা, চাটনি কিংবা তরকারিতে সুগন্ধি এনে এ পাতা স্বাদকে বাড়িয়ে তোলে বহুগুণ। তাই এর চাহিদা দেশজুড়ে।’
সাইফুল উদ্দীন/এসইউ/জিকেএস
Advertisement