মানহীন ও নকল কসমেটিকস বাজারজাত ঠেকাতে জাতীয় সংসদে বিল পাস হয়েছে। বিলে কসমেটিকসের ব্যবসা করতে হলে ওষুধ প্রশাসন থেকে লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
Advertisement
এছাড়া বিদ্যমান ওষুধ আইনে কসমেটিকস শব্দটি যুক্ত করে ‘ওষুধ ও কসমেটিকস’ বিলে ওষুধের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও বেশি মুনাফার লোভে মজুত করলে ১৪ বছর জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলটি জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা। তারা বাজারের ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ এবং লাগামহীনভাবে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
পাস হওয়া বিলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দায়িত্ব ও কর্মপরিধি সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কসমেটিকস বিক্রি, আমদানি ও উৎপাদন করতে হলে লাইসেন্স নিতে হবে। লাইসেন্স অথোরিটি হিসেবে কাজ করবে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এখন যারা কসমেটিকসের ব্যবসা বা উৎপাদন করছেন তাদের লাইসেন্স নিতে হবে। এজন্য ওষুধ প্রশাসন বিধি প্রণয়ন করবে।
Advertisement
১৯৪০ সালের ড্রাগস আইন ও ১৯৮২ সালের দ্য ড্রাগস কন্ট্রোল অ্যাক্ট- এ দুটোকে এক করে এই বিল আনা হয়। বিলে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে ওষুধের নিরাপত্তা, কার্যকারিতা, নতুন ওষুধ ও ভ্যাকসিন মেডিকেল ডেভেলপ করার বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বিলে।
বলা হয়েছে, রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধ থাকবে। এমনটা করা হলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। মেডিকেল ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত আইনে ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মেডিকেল ডিভাইসকে ওষুধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কিছু ওষুধের দাম সরকার নির্ধারণ করে দেবে বলে বিলে উল্লেখ করা হয়।
বিলের তফসিলে ৩০ ধরনের অপরাধ চিহ্নিত করে সেগুলোর ক্ষেত্রে কী সাজা হবে তা উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অপরাধের ধরন অনুযায়ী সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা জরিমানা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
Advertisement
আইএইচআর/জেডএইচ/জেআইএম