জি-২০ সম্মেলনের নৈশভোজে অংশ নেবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। ভারতীয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুর আমন্ত্রণে সেখানে যাচ্ছেন তিনি। এই অনুষ্ঠানের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মমতার বৈঠক হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
এদিকে, নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে তিস্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। এ অবস্থায় একই সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর অংশগ্রহণ এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন>> হাসিনা-মোদী বৈঠকে উঠবে তিস্তা ইস্যু
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সম্প্রতি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান। উচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে তিস্তা নদীর হিস্যা আলোচনা করে এসেছি বা রেখেছি। এবারও আশা করছি, প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি তুলবেন। তিস্তা পানিবণ্টন যে ইস্যু রেয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে তা তুলবেন। পাশাপাশি অন্য ইস্যুও তো রয়েছে।
Advertisement
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমাদের ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি রয়েছে, সেটিও (আলোচনায়) তোলা হবে। সব বিষয়ে আমাদের যৌথ নদী কমিশন এবং অন্যরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন>> বাংলাদেশকে পানি দিলে আমার আপত্তি নেই: মমতা
হাসিনা-মোদীর বৈঠকে আন্তঃরাষ্ট্রীয় নদী নিয়ে আলোচনা হবে কি না এবং আজকের আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এ নিয়ে আমরা আলাদা করে আলোচনা করিনি। কিছুটা সাইডলাইনে বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করেছি।
চলতি বছরের মার্চে তিস্তার পানি প্রত্যাহারে পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে দুটি খাল খননের বিষয়ে নয়াদিল্লির কাছে কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে জানতে চেয়েছে ঢাকা। প্রায় পাঁচ মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এ বিষয়ে নয়াদিল্লির কোনো বার্তা পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে সচিব বলেন, এখনো পাইনি।
Advertisement
আরও পড়ুন>> জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকেই হবে হাসিনা-মোদী বৈঠক
কেএএ/