দেশজুড়ে

ভাতার কার্ড প্রতিবন্ধীর, টাকা যায় ইউপি সদস্যের নম্বরে

প্রতিবন্ধীর নামে কার্ড ইস্যু হলেও গত দুই বছর ধরে ভাতার টাকা যাচ্ছে ইউপি সদস্যের পকেটে। পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠা মোস্তাফিজুর রহমান বাবু চর তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আর বঞ্চিত প্রতিবন্ধী একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভাদুরিয়া ডাঙ্গীর মৃত কেসমত শেখের ছেলে দিলবার শেখ।

Advertisement

জানা গেছে, দুই বছর আগে মেম্বারের কাছে শারীরিক প্রতিবন্ধী দিলবার শেখ একটি কার্ড করে দেওয়ার কথা জানান। এসময় মোস্তাফিজুর রহমান বাবু তার সব কাগজপত্র জমা নেন। এরপর প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড ইস্যু হয়। কিন্তু সুবিধাভোগীর টাকা প্রাপ্তির মোবাইল নম্বরের জায়গায় ওই মেম্বার নিজের নম্বর বসিয়ে দেন। এতে গত দুই বছর ধরে ভাতার ২৫ হাজার টাকা মেম্বারের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে জমা হয়।

এদিকে, ওই প্রতিবন্ধী টাকা না পাওয়ায় তিনি ধারণা করেছিলেন তার নামে কার্ড হয়নি। তিনি আর কোনো খোঁজ নেননি। সম্প্রতি তিনি ইউনিয়ন পরিষদে যান প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের আবেদন নিয়ে। তখন পরিষদ থেকে জানানো হয়, তার নামে ভাতা কার্ড আছে। ভাতার টাকা জমার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট হিসেবে বাবু মেম্বারের নম্বর দেওয়া আছে বলে জানানো হয়।

এরপর গত ৪ সেপ্টেম্বর পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী দিলবার শেখ।

Advertisement

এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, তিনি একটি অভিযোগ পেয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছেও ভুক্তভোগী অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হয়। একপর্যায়ে তার স্ত্রী ফোন রিসিভ করে জানান, মেম্বার বাইরে আছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন জানান, তিনি বিষয়টির খোঁজ নেবেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমিন ইসলাম জুয়েল/এমআরআর/এএসএম

Advertisement