আন্তর্জাতিক

প্রিন্স সালমান-পুতিনের ফোনালাপ

সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনে আলাপ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানি সরবরাহ কমিয়ে আনার বিষয়ে দুদেশের চুক্তি এবং তেলের বাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে কথা বলেছেন তারা।

Advertisement

তেল উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে সৌদি আরব এবং রাশিয়া। মঙ্গলবার দুই দেশের নেতা স্বেচ্ছায় চলতি বছরের শেষের দিকে তেলের সরবরাহ হ্রাসের ঘোষণা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম

রাশিয়া প্রতিদিন তেল রপ্তানি তিন লাখ ব্যারেল কমানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। অন্যদিকে সৌদি আরব তাদের তেলের উৎপাদন ১০ লাখ ব্যারেল কমিয়ে আনবে বলে জানিয়েছে।

Advertisement

ক্রেমলিন জানিয়েছে, নেতৃস্থানীয় তেল উত্পাদনকারী দেশগুলোর সংগঠন ওপেক প্লাস গ্রুপের কাঠামোর আওতায় দেশগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে তারা বেশ সন্তুষ্ট।

দুই নেতার ফোনালাপের বিষয়ে ক্রেমলিন জানিয়েছে, তেলের উৎপাদন কমানোর বিষয়ে বিভিন্ন চুক্তি, পণ্যের সরবরাহ সীমিত করার প্রতিশ্রুতির বিষয়ে একমত হয়েছেন তারা। এতে করে বিশ্বব্যাপী তেলের বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম সামান্য বেড়েছে। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) এশিয়ার বাণিজ্যে এই বৃদ্ধি দেখা গেছে। এর আগের সেশনে তেলের দাম বাড়ে এক শতাংশের বেশি।

বুধবার সকালের দিকে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৪ সেন্ট বেড়ে ৯০ দশমিক ১৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ব্যারেলপ্রতি ১২ সেন্ট বেড়ে ৮৬ দশমিক ৮১ শতাংশে দাঁড়ায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণ গ্রীষ্ম পার করলো বিশ্ব

বিনিয়োগকারীরা মনে করেছিল সৌদি আরব ও রাশিয়া অক্টোবরে তেলের উৎপাদন কমাতে পারে। কনসালটেন্সি রিস্টাড এনার্জির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জর্জ লিওন বলেন, তেলের উৎপাদন কমানোর পদক্ষেপে চাপে পড়ে তেলের বাজার। ফলাফল একটাই তা হলো দাম বেড়ে যাওয়া।

তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশে মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক নীতিতে এই কাটছাঁটের প্রভাব পড়বে তার পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। তবে মূল্যস্ফীতি কমাতে আরও কঠোর আর্থিক নীতি বাস্তবায়ন করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

টিটিএন