দাম্পত্যে নানা বিষয় নিয়ে কলহ বা অশান্তি হতেই পারে। অনেকের ক্ষেত্রে তা মোড় নেয় বিবাহবিচ্ছেদে। এক্ষেত্রে কি দম্পতির মধ্যে ভালোবাসা কমে যায়, নাকি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে অন্যন্য বিষয়ের দিকেও নজর দেওয়া জরুরি?
Advertisement
সম্পর্ক বিশারদদের মতে, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে শুধু ভালোবাসাই যথেষ্ট নয়। পারিপার্শ্বিক আরও বিভিন্ন বিষয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভালো সম্পর্কের ক্ষেত্রে উভয় অংশীদারের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ সামঞ্জস্য, বোঝাপড়া, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, আনুগত্য, সততা, যৌন সামঞ্জস্যসহ আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে।
আরও পড়ুন: প্রেমে জড়াতে চান না বেশিরভাগ পুরুষই, বলছে গবেষণা
Advertisement
এসব বিষয়ে বোঝাপোড়া ভালো থাকলে তারা একে অপরের পরিপূরক হতে সক্ষম হয়। দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ভালোবাসার পাশাপাশি আরও যা যা জরুরি-
আরও পড়ুন: প্রথম দেখায় কি সত্যিই প্রেম হয়?
শ্রদ্ধাবোধ
দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে একে অপরের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকা জরুরি। সঙ্গীর মতামতকে মূল্যায়ন করা, সমস্যা বোঝা ও চাহিদা সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।
Advertisement
দাম্পত্য সম্পর্ক এগিয়ে শক্তিশালী করার সর্বোত্তম উপায় এটি। এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, উভয় অংশীদার একে অপরেরেআশপাশে থাকাকালীন নিরাপদ বোধ করেন কি না।
সততা ও বিশ্বাস
সম্পর্কে সততা ও বিশ্বাস বজায় রাখতে হবে। প্রিয়জনের প্রতি আপনি যতটা লয়্যাল থাকবেন, তিনিও ততটাই আপনাকে ভালোবাসবেন। একটি সম্পর্ক টিকে থাকে বিশ্বাসের উপর।
আরও পড়ুন: ভালোবাসার রং লাল কেন?
আর যখনই একে অপরের উপর থেকে বিশ্বাস চলে যায় তখনই সংসার ভেঙে যায় কিংবা দাম্পত্য জীবন হয়ে ওঠে। ভালোবাসার পাশাপাশি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সঙ্গীর সঙ্গে সৎ থাকাটা জরুরি।
যোগাযোগ
নিয়মিত যোগাযোগ রাখাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। দিনে বেশ কয়েকবার সঙ্গীর খোঁজখবর নেওয়া উচিত স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই।
এমনকি কর্মব্যস্ত জীবনে যতটুকু অবসর সময় পান নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত না থেকে সঙ্গীকে সময় দিন, তার মনের কথা জানার চেষ্টা করুন। বেশিরভাগ দম্পতির মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি হয় যোগাযোগের অভাবে। তাই এদিকে বিশেষ সতর্ক থাকুন।
শেয়ারিং ও কেয়ারিং হওয়া
দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই উচিত একে অন্যের প্রতি শেয়ারিং ও কেয়ারিং হওয়া। সাংসারিক কাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দায়-দায়িত্ব সঙ্গীর সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়ার মাধ্যমে সংসার সুখের করতে পারেন।
আরও পড়ুন: যে কারণে সাদা টি-শার্ট পরা পুরুষে আকৃষ্ট হন নারীরা
এই অভ্যাস যেসব দম্পতির মধ্যে নেই তাদের মনে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা থাকলেও তা একসময় কমে যায়।
যৌন অন্তরঙ্গতা
শারীরিক স্পর্শ ও যৌন অন্তরঙ্গতা বজায় রাখার মাধ্যমে দাম্পত্য সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়। সঙ্গীও হাত ধরা, আলিঙ্গন করা কিংবা খুনসুটি ইত্যাদি দুজনের মধ্যকার যৌন ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়।
এই অভ্যাসগুলো দুজন মানুষকে আবেগগতভাবে কাছাকাছি আনে। ভালোবাসার পাশাপাশি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে দুজনের মধ্যে যৌন সামঞ্জস্যতাও জরুরি।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
জেএমএস/এমএস