দেশকে এগিয়ে নিতে দক্ষ জনশক্তির বিকল্প নেই। যুব সমাজকে দক্ষ করা গেলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ সম্ভব। বেকারত্ব নিরসন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার প্রত্যয়ে যুব প্রশিক্ষণে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। প্রশিক্ষণের আওতায় আসছে কক্সবাজারে ২৪ হাজার যুবক-যুবতী।
Advertisement
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হোটেল ওশান প্যারাডাইসের হলরুমে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘কেউ পিছিয়ে থাকবে না: কক্সবাজারের নারী ও যুবদের দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা সৃষ্টি’ প্রকল্পের উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এসব কথা বলেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ১৭ কোটি লোকসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ যুবা। এদের মধ্যে বেকার রয়েছে এক কোটি ৮২ লাখ। বিশাল এ যুব সমাজকে প্রশিক্ষণে দক্ষ করা গেলে সম্পদে পরিণত হবে। দক্ষ জনশক্তি সম্পদ হিসেবে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে। যুবকদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে কক্সবাজারে ২৪ হাজার যুবক-যুবতীকে ট্যুরিজম, কৃষি এবং মৎস্যসহ আটটি সেক্টরে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘সংস্কার শেষ হওয়ার আগেই খেলা হতে পারে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে’
Advertisement
আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজার চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মন্তব্য করে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারের পরিবেশের পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থা, শ্রমবাজার, ব্যবসা বাণিজ্যের উপর রোহিঙ্গাদের চরম প্রভাব পড়ছে। এ অবস্থায় বেকার হয়ে পড়ছে কক্সবাজারের একটি বিশাল অংশ। এসব বেকার যুবক ও নারীরা প্রশিক্ষিত হয়ে যেন দেশ-বিদেশে চাকরি এবং উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি হতে পারে সেই লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ২৪ হাজার নারী ও যুবকদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। এদের মাঝে ৪০ শতাংশ নারী ও ৩ শতাংশ প্রতিবন্ধীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। ২০২৫ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এ প্রকল্প। শুরু হওয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে যুবকরা নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম খান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা, কানাডিয়ান হাইকমিশনার লিলি নিকোলাস, আইএলও'র কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পাউটিয়ানেন, এনসিসি প্রতিনিধি নাইমুল আহসান জুয়েল এবং ব্র্যাক, অংশীদার জাতিসংঘ সংস্থা এফএও এবং ইউএনডিপির প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
সায়ীদ আলমগীর/জেএস/এএসএম
Advertisement