২০৪১ সালের মধ্যে সম্ভাব্য বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৬০ হাজার মেগাওয়াট হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
Advertisement
তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৮ হাজার ১৩৪ মেগাওয়াট।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে এম আব্দুল লতিফের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
নসরুল হামিদ বলেন, মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে এক হাজার ১৯৫ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য উৎস হতে উৎপাদিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিদ্যুৎ বিভাগ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করছে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে সম্ভাব্য বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা হবে প্রায় ৬০ হাজার মেগাওয়াট। সেক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য খাত হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রয়োজন হবে ২৪ হাজার মেগাওয়াট। বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চলমান, প্রক্রিয়াধীন ও পরিকল্পনাধীন মোট প্রকল্পের সংখ্যা ১০৮টি। প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে ২০৩০ সাল নাগাদ ১০ হাজার ১২৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, এডিবির সহায়তায় সোলার ইরিগেশন রোডম্যাপ (২০২৩-৩১) প্রণয়ন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। উক্ত রোডম্যাপের আওতায় ৪৫ হাজার ডিজেলচালিত পাম্পকে সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পে রূপান্তর করা হবে। এর মাধ্যমে প্রায় ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
জাতীয় পার্টির এমপি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বিদ্যুতের চাহিদা প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়ে থাকে। বর্তমানে চাহিদা প্রায় ১৫ হাজার মেগাওয়াট। তিনি জানান, এ পর্যন্ত গত ১৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে।
আইএইচআর/জেডএইচ/এমএস
Advertisement