কক্সবাজারে মাছ ধরার ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও তিনজন মারা গেছেন। তারা হলেন- রহিম উল্লাহ (৩০), আরমান (২২) ও শাহিন (৩৫)।
Advertisement
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা। এ নিয়ে এ ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হলো।
বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান। তিনি বলেন, কক্সবাজারে মাছ ধরার ট্রলারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও তিন জেলে মারা গেছেন। এদের মধ্যে রহিম উল্লাহ আইসিইউতে ছিলেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে মাছ ধরার ট্রলারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১২
Advertisement
তিনি আরও বলেন, রহিমের শরীরের ৯০ শতাংশ, আরমানের ৭০ শতাংশ ও শাহীনের শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। আগুনে সবার শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দগ্ধ আরও দুজন আইসিইউতে ও দুজন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এর আগে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে ওসমান গণি নামে একজনের মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আগুনে তার শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার আগে চমেক হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান আইয়ুব আলী (৪৮) নামের জেলে।
আরও পড়ুন: ট্রলারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ জেলের মৃত্যু
কক্সবাজার জেলা বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ বলেন, কক্সবাজারের ফিশারিঘাটে নোঙর করা মাছ ধরার ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ পাঁচ জেলে মারা গেছেন বলে জেনেছি। একজন ঢাকায় এবং চারজন চমেক হাসপাতালে।
Advertisement
শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে কক্সবাজার বিমানবন্দর সড়কের বাঁকখালী নদীর নুনিয়ারছড়া ঘাটে নোঙর করা এফবি লাকি নামে একটি মাছ ধরার ট্রলারে বিস্ফোরণ ঘটে। ট্রলারটিতে ১৮ জন জেলে ছিলেন। এতে দগ্ধ হন ১২ জেলে। দগ্ধ-আহতরা সবাই কক্সবাজার শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবদিয়াপাড়া ও সমিতিপাড়ার বাসিন্দা।
ইকবাল হোসেন/সায়ীদ আলমগীর/বিএ/এমএস